স্বামীও স্ত্রীকে 'ধর্ষণ' করতে পারে! গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
স্ত্রীয়ের উপর শারীরিক নিগ্রহ ধর্ষণের আকার নিতে পারে। বৃহস্পতিবার এক পর্যবেক্ষণে কার্যত বৈবাহিক ধর্ষণকেই মান্যতা দিলেন বিচারপতি। আজ বৃহস্পতিবার গর্ভপাত সংক্রান্ত একটি রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলাতেই বিচারপতি
স্ত্রীয়ের উপর শারীরিক নিগ্রহ ধর্ষণের আকার নিতে পারে। বৃহস্পতিবার এক পর্যবেক্ষণে কার্যত বৈবাহিক ধর্ষণকেই মান্যতা দিলেন বিচারপতি। আজ বৃহস্পতিবার গর্ভপাত সংক্রান্ত একটি রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলাতেই বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় উল্লেখ করেন, শুধুমাত্র অবিবাহিত মহিলারাই নন। যৌন নির্যাতনের স্বীকার হন বিবাহিত মহিলারাও।
গর্ভবতী হতে বাধ্য করা হয়। বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ এদিন রায় দিয়ে জানিয়েছে, ২০ থেকে ২৪ সপ্তাহের মধ্যে আইনত গর্ভপাত করাতে পারবেন একজন অবিবাহিত মহিলা। সেই মামলাতে ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, স্ত্রীয়ের মতামত ছাড়াই অনেক সময়ে স্বামী গর্ভবতী হতে বাধ্য করে।
সেই যৌন নির্যাতনকে মান্যতা দেওয়া না হলেও সেটা সত্যিই ধর্ষণের আকার নিতে পারে। শুধুমাত্র অপরিচিত পুরুষই যৌন নির্যাতনের জন্য দায়ী এটা ভাবা ভুল। অনেক মহিলা পরিবারের মধ্যেই এই ধরণের অত্যাচার হয় বলে পর্যবেক্ষণ। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, বিয়ের নামক সম্পর্কের অর্থ এই নয় যে একজন মহিলা শারীরিক সম্পর্কে সবসময় সম্মতি থাকবে। বিয়ের সঙ্গে সঙ্গে যৌন নির্যাতনের অর্থ বদলে যায় না। স্বামী 'ধর্ষণ' করায় একজন মহিলা গর্ভবতী হয়ে পড়েন এমন ঘটনাও মিথ্যা নয় বলে মনে করেন বিচারপতি।
বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে ভারতে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক রয়েছে। ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণের সংজা থেকে বৈবাহিক ধর্ষণকে বাদ রাখা হয়েছে। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বৈবাহিক ধর্ষণ সম্পর্কে একটি মামলা চলছে। এরই মধ্যে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের এহেন মন্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন বিচারপতি রায় দিতে গিয়ে স্ত্রীয়ের উপর স্বামীর নির্যাতনকে ধর্ষণ বলেই অ্যাখ্যা দিয়েছেন। সমাজের একাংশ মনে করে, বৈবাহিক ধর্ষণকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হলে এর অপব্যবহার হতে পারে।
আর একাংশের মতে, ওই বৈবাহিক ধর্ষণ দেশের বহু মহিলার জীবনকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বহু মহিলা এমন অভজগ সামনে এনে সুপ্রিম কোর্ট কিংবা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। তা নিয়ে দিনের পর দিন শুনানি হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে স্পষ্ট কোনও রায় দেয়নি আদালত।
উল্লেখ্য গর্ভপাত নিয়ে মহিলাদের অনেক সময়ে একাধিক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট এই প্রসঙ্গে যে রায় দিয়েছে তাতে সেই সামাজিক সমস্যাও অনেকটাই কাটবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন রায় গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করা হচ্ছে।