দিল্লির পাঁচতারা হোটেল থেকে রহস্যজনকভাবে মিলল শশী পত্নী সুনন্দার মৃতদেহ
শশী পত্নীর বয়স ছিল ৫২ বছর। ২১ বছরের তাঁর একটি ছেলেও রয়েছে। কীভাবে মৃত্যু হল তাঁর তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে আগামীকাল সুনন্দার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।
আত্মহত্যা নাকি সুনন্দার মৃত্যুর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য,জল্পনা
বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির লীলা প্যালেস স্বামী শশী থারুরের সঙ্গে হোটেলে ওঠেন সুনন্দা। বাড়িতে রং হচ্ছিল বলে হোটেল রাত্রিযাপনের জন্য সুনন্দা গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রীর সহকারি। এর পর আজ সন্ধ্যায় শশী বাড়ি ফিরে ঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ। অনেকবার ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় শেষ পর্যন্ত দরজা ভেঙে হোটেলের ঘরে ঢুকে সুনন্দার মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশসূত্রের খবর সুনন্দার শরীরে কোনও ক্ষতচিহ্ন মেলেনি। এমনকি ধ্বস্তাধ্বস্তির কোনও নিশানও মেলেনি শরীরে। কোনও বিষাক্ত কিছুও পাওয়া যায়নি শরীরে। বিছানার উপর তাঁর মৃতদেহটি রাখা ছিল।
মেহের তারার নামে পাকিস্তানি ওই সাংবাদিককে শশী থারুরের পিছনে পড়ে যাওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছিলেন সুনন্দা। এও জানিয়েছিলেন দুজনের মধ্যে একটা সম্পর্কও তৈরি হয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার আবার নিজের বক্তব্য পাল্টে সুনন্দা জানান, শশীর সুখী দাম্পত্য রয়েছে। একটি অনুষ্ঠানে দেখে মেহেরই শশীর প্রেমে পড়ে।
তার পরেই এই রহস্যজনক মৃত্যু উস্কে দিয়েছে হাজারো প্রশ্ন। সুনন্দার ঘণিষ্ঠমহলের দাবি, এই কারণের জন্য তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন না।