খুলে নেওয়া হল অন্তর্বাস, জোটেনি চাদরও...ভয়ঙ্কর তিনটি ঘণ্টা ভুলতে পারছেন না ছাত্রী
নিট পরীক্ষায় মহিলাদের অন্তর্বাস খোলার ঘটনায় দেশজুড়ে বিতর্ক। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু সেদিন কি হয়েছিল? লজ্জাকে সরিয়ে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন এক ছাত্রী। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দে
নিট পরীক্ষায় মহিলাদের অন্তর্বাস খোলার ঘটনায় দেশজুড়ে বিতর্ক। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু সেদিন কি হয়েছিল? লজ্জাকে সরিয়ে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন এক ছাত্রী। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, তিন ঘটনার পরীক্ষা ছিল। আর গোটা সময় শরীরকে চুল দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়। যা মোটেই স্বস্তিদায়ক ছিল না বলেও জানিয়েছে সে ছাত্রী।
পরীক্ষা কেন্দ্রে হওয়া ঘটনার তথ্য দিতে গিয়ে ১৭ বছরের এই তরুণী জানান, পরিস্থিতি মোটেই স্বস্তিদায়ক ছিল না। ওই ছাত্রীর বক্তব্য অনুসারে কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা তাঁদের ডাকে। বলে, স্ক্যানিং করা হবে। মনে হয়েছিল স্কেনিং হয়ে গেলেই বোধহয় যাওয়ার অনুমতি পাওয়া যাবে। আর সেই মতো কর্মীরা তাঁদের দুটি লাইনে দাঁড় করিয়ে দেয়। যেখানে মেটাল ছাড়া এমন অন্তর্বাস পড়া মহিলাদের জন্যে একটি লাইন অন্যটি......
ওই ছাত্রী ঘটনার মুহূর্তের বক্তব্য তুলে ধরার সময় বারবার ভেঙে পড়ছিলেন! এখনও তাঁর চোখেমুখে স্পষ্ট আতঙ্ক...লজ্জা!! তাও মনে'র জোর নিয়েই ছাত্রী জানায়, আমায় জিজ্ঞেস করা হয় আমি মেটালের হুক লাগানো অন্তর্বাস পড়েছি কিনা। আমি হ্যাঁ বলতেই তাঁরা আমাকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে বলে।
কি হচ্ছে বা কি হতে চলেছে তা প্রথমে বুঝতে পারেনি সে। আর এরপরেই কর্তব্যরত কর্মীরা আমাকে আমার অন্তর্বাস খুলে ফেলতে বলে। এবং তা খুলে টেবিলে রেখে দিতে বলে। সমস্ত অন্তর্বাস টেবিলের উপর রাখা ছিল বলে জানায় ওই ছাত্রী। এগুলি কি পাওয়া যাবে পরীক্ষা শেষে সেই বিষয়টিও তাঁদের জানানো হয় না বলে দাবি ওই ছাত্রীর।
কিন্তু পরীক্ষা শেষে ফেরার সময় অনেক কিছু বদলে যায়! চারপাশ জূড়ে ভয়ঙ্কর ভিড় ছিল। কোনও রকমে ছাত্রীরা তাঁদের অন্তর্বাস ফিরে পায়। কিন্তু এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে যে পড়তে হবে তা বোধহয় কল্পনাতেও ভাবেননি পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রীরা। আর এই ঘটনায় অনেকে কেঁদে ফেলেন। আর সেই সময়ে এক মহিলা নিরাপত্তা কর্মী তাঁরা কেন কাঁদছে এই বিষয়ে জানতে চায়। শুধু তাই নয়, অন্তর্বাস হাতে নিয়ে চলে যাওয়ার কথাও জানায় সে। যেন পড়ার কোনও প্রয়োজনীয়তাই নেই... বলছেন ওই ছাত্রী।
তবে একজন মহিলার কাছে এমন কথা অনেকটাই অবাক করেছিল বলেও দাবি তাঁর। ছাত্রীর মতে , এই ঘটনা সত্যিই ভয়ঙ্কর। স্বপ্নেরও অতীত। এমনকি পরীক্ষা হলে চারপাশে যেখানে একাধিক ছাত্র বসে রয়েছেন সেখানে চুল দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। একটা চাদরও দেওয়া হয়নি বলেও ওই ছাত্রী সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন।
ঘটনা সামনে আসার পরেই বিতর্ক। মহিলা পুলিশের একটি দল ওই ছাত্রীর জবানবন্দি নিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এই বিষয়ে উপযুক্ত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। জানানো হয়েছে, অভিযুক্তকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। রাজ্যের মহিলা কমিশন ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই ঘটনার রিপোর্ট পেশের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে।