সুখোইকে নিয়েই আরবের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় ভারতীয় বায়ুসেনা
মুসলিম
বিশ্বের
সঙ্গে
সম্পর্ক
মজবুতিতে
জোর
দিচ্ছে
ভারত।
এবার
আরবের
আকাশে
দাপিয়ে
বেড়াতে
দেখা
যাবে
ভারতীয়
বায়ুসেনার
একাধিক
যুদ্ধ
বিমানকে।
সূত্রের
থবর,
'ডেজার্ট
ফ্ল্যাগ’
নামের
মহড়ায়
অংশ
নিতে
বুধবার
অমিরশাহী
যাচ্ছে
ভারতীয়
বায়ুসেনার
ছ’টি
সুখোই-৩০
এমকেআই
ও
দু’টি
সি-১৭
বিমান।
যা
নিয়ে
আন্তর্জাতিক
মহলে
শুরু
হয়েছে
জোরদার
আলোচনা।
এদিকে চলতি মাসের মাঝামাঝি নৌ-মহড়ায় অংশই নিতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী গিয়েছিল ভারতীয় নৌসেনার রণতরী 'প্রলয়’। তখনও আরব-ভারত দ্বিপাক্ষীক সম্পর্ক নতুন করে বেশ খানিকটা মজবুত হয়। এমনকী আইডিএক্স ২০২১ ও নাভডেক্স ২০২১ নামে দুটি সামনরিক মহড়াতেও অংশ নেয় এই যুদ্ধজাহাজ। প্রলয়ের পর এবার এবার আরবের আকাশে রণডঙ্কা বাজাতে চলেছে সুখোই যুদ্ধবিমান।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে আবু ধাবির যুবরাজ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহানের ভারত সফর হলে দুই দেশের মধ্যে একাধিক দ্বিপাক্ষীক সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা। আলোচনা হয় সামরিক ক্ষেত্রে একে অপরকে সাহায্যের বিষয়েও। এমনকী কৌশলগত ভাবে সহমতও প্রকাশ করে দুই দেশ। এমনকী ২০১৮ সালে গাল্ফ স্টার-১ শীর্ষক যৌথ নৌ-মহড়াতেও অংশ নেয় দেশ। এবার সেই গাল্ফ এলাকার দেশগুলির সঙ্গেই নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিতে চাইছে ভারত।
এদিকে আরবের নৌবাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় নৌসেনার সম্পর্ক যে আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে সেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কথাতেও। সাগরে সহযোগিতা বজায় রাখতে লাগাতার আবু ধাবির বন্দরে যাতায়াত চলছে ভারতীয় রণতরীগুলির, এমনটাই জানিয়েছেন রাজনাথ। অন্যদিকে এবার আরবের বায়ুসেনার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে মাঠে নামানো হচ্ছে সুখোইয়ের মতো যুদ্ধ বিমান।
অন্যদিকে গ্রীস,জোর্ডান,কুয়েত ও মিশর মতো দেশগুলিও এই মহড়ায় দর্শকের ভূমিকা নেবে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে সুখোইয়ের পাশাপাশি আমেরিকান এফ-১৫এস, এফ-১৬এস, রাফাল, মিরাজ-২০০০ এর মতো যুদ্ধবিমানগুলিও এই মহড়ায় অংশ নিতে চলেছে বলে খবর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আরব ছাড়াও গত কয়েক বছরে মুসলিম বিশ্বের একাধিক দেশের সঙ্গে সমঝোতার রাস্তায় হেঁটেছে ভারত, আদপে বিশ্ব রাজনীতির আঙিনায় ভারতকে বেশ খানিকটা এগিয়ে রাখবে বলেই মত কূটনীতিকদের।