রাজ্যগুলির কাছে ১৯.৯০ কোটি অব্যবহৃত করোনা ভ্যাকসিন রয়েছে, জানাল কেন্দ্র
রাজ্যগুলির কাছে ১৯.৯০ কোটি অব্যবহৃত করোনা ভ্যাকসিন রয়েছে, জানাল কেন্দ্র
দেশে আবারও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ! চতুর্থ ওয়েভের আশঙ্কার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা! এরকম অবস্থায় করোনার তৃতীয় বুস্টার ডোজের উপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা৷ এরকম অবস্থায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক মঙ্গলবার জানিয়েছে যে দেশে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির কাছে ১৯.৯০ কোটিরও বেশি অব্যবহৃত করোনা ভ্যাকসিন ডোজ মজুত রয়েছে৷
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলেছে, যে দেশে রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে যে ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছিল তার বেশ বড় একটি অংশ এখনও অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে৷ ১৯,৯০,৯৮,৮৬০ টি ভ্যাকসিন ডোজ এখনও মজুদ রয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছে।
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৯২.৮৫ কোটিরও বেশি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের ডোজ রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ভারত সরকারের মাধ্যমে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে। ১৬ জানুয়ারি ২০২১ এ দেশব্যাপি করোনা টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল৷ যদিও প্রথমে কোভিড যোদ্ধাদেরই করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছিল৷
বাংলার ৭ জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা! ৫ জেলার সঙ্গে কলকাতাতেও হতে পারে মেঘের আনাগোনা
পরে ২১ জুন ২০২১ থেকে সবার জন্য করোনা টিকা চালু হয়৷ পরে আরও ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তার অগ্রিম পরিমাপ করে ভ্যাকসিন সরবরাহের কাজ করেছিল কেন্দ্র৷ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশে কোভিডকালীন ভ্যাকসিন সরবরাহের চেইনকে সুগম করা হয়েছিল৷ যার মাধ্যমে দেশে টিকাকরণ অভিযানকে ত্বরান্বিত করা গিয়েছে।
এতদিন দেশব্যাপী টিকাদান অভিযানের অংশ হিসাবে, ভারত সরকার রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বিনামূল্যে কোভিড ভ্যাকসিন সরবরাহ করছে। করোনা টিকাকরণ অভিযানের সর্বজনীনীকরণের নতুন পর্যায়ে, কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি দেশের ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের দ্বারা উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ৭৫ শতাংশ বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারবে।