২৩ মে-র পর হবে সিদ্ধান্ত! চন্দ্রশেখরকে পত্রপাঠ ফিরিয়ে হাওয়া বুঝিয়ে দিলেন স্টালিন
তেলাঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ণের আস্ফালন ব্যালটে দেখিয়ে দিয়েছিল তেলাঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি।
তেলাঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ণের আস্ফালন ব্যালটে দেখিয়ে দিয়েছিল তেলাঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি। সেরাজ্যে সরকার গড়ার পরই রাতারাতি টিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও কার্যত মমতার সুরে সুর মিলিয়ে ঘোষণা করেছিলেন লোকসভা নির্বাচনের পর দেশের ভাগ্য নির্ধারণ করবে আঞ্চলিক দলগুলি। এরপর অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেসি সরকার গঠনের ইঙ্গিত জোরদারভাবে দিতে থাকে দক্ষিণভারতের এঅই শক্তিশালী দল। এবার লোকসভা ভোটের মধ্যেই সেই অ-বিজেপি ও অ-কংগ্রেসি সরকার গঠনের পদক্ষেপ নিতে গিয়ে কার্যত ব্যাকফুটে চলে গেল তেলাঙ্গানার এই সর্বক্ষমতাময় দলটি।
বিজেপি , কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের জন্য টিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও কিছুদিন আগেই দক্ষিণের আরও এক শক্তিশালী দল ডিএমকে-র এম কে স্টালিনের সঙ্গে দেখা করেন। আর সেখানেই তৃতীয় ফ্রন্টের জন্য জোটবদ্ধ হওয়ার বার্তা দেন চন্দ্রশেখর রাও। তবে চন্দ্রশেখরের সেই বার্তা ফিরিয়ে দিয়ে স্টালিন ও ডিএমকে শিবির স্পষ্ট করে দেয় যে ২৩ মে-র আগে তৃতীয় ফ্রন্টের বিষয়ে কোনও ভাবনা চিন্তার জায়গাতেই নেই করুণানিধির দল। এদিকে, মমতা, চন্দ্রবাবুর 'ইউনাইটেড ইন্ডিয়া' ফ্রন্টেও যেতে পারছেন না চন্দ্রশেখর রাও। কারণ সেখানে চন্দ্রবাববু নাইডু থাকায়, সেই জোটের শরিক হলে টিআরেস-এর রাজনৈতিক জমির খানিকটা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে ভোটের মধ্যেও খানিকটা ব্যাকফুটে চলে যায় ফেডারেল ফ্রন্টের ভাবনা।
প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ুতে ডিএমকে-র সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে লোকসভা ভোটে নেমেছে কংগ্রস। অন্যদিকে, জয়ললিতার এআইএডিএমকে-র সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে ভোট ময়দানে নেমেছে বিজেপি। সবমিলিয়ে ভোট সমীকরণের নিরিখে কার্যত বড়সড় ধাক্কার মুখে দক্ষিণের তৃতীয় ফ্রন্টের স্বপ্ন। তবে মত বদলের সমস্ত রাস্তাই খুলে রেখেছে দক্ষিণের একাধিক নামী রাজনৈতিক শিবির।