নাগরিকত্ব বিলে ঠাঁই মেলেনি, স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন শ্রীলঙ্কার তামিল শরণার্থীর
নাগরিকত্ব আইনের আওতায় তাঁদের না রাখায় ক্ষমা হত্যার আবেদন জানালেন শ্রীলঙ্কার তামিল শরণার্থী। ২৪ বছরের এই যুবক যদিও জন্মেছেন ভারতেই।
নাগরিকত্ব আইনের আওতায় তাঁদের না রাখায় ক্ষমা হত্যার আবেদন জানালেন শ্রীলঙ্কার তামিল শরণার্থী। ২৪ বছরের এই যুবক যদিও জন্মেছেন ভারতেই। তাঁর মা-বাবা শ্রীলঙ্কার বাসিন্দা ছিলেন। সালেমে শরণার্থী শিবিরে থাকেন তিনি। বাবা-মা শরণার্থী বলে তিনি এদেশে জন্মালেও নাগরিকত্ব পাননি এখনও। তাই জেলা শাসকের কাছে ক্ষমা হত্যার আবেদন জানিয়েছেন।
ক্ষুব্ধ শ্রীলঙ্কার তামিল শরণার্থীরা
শ্রীলঙ্কা থেকে ভারতে এসে বসবাস শুরু করেছেন এমন শরণার্থীর সংখ্যা নেতাত কম নয়ষ অনেকেই দুই প্রজন্ম ধরে ভারতে বসবাস করছেন। কিন্তু শরণার্থী তকমা এখনও গায়ে লেগে রয়েছে তাঁদের। ভারতের নাগরিকত্ব পাননি তাঁরা। নাগরিকত্ব বিল যাখন থেকে পাস করানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছিল মোদী সরকার তখন থেকেই তাঁদের এই বিলের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে সরব হয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার এই তামিল শরণার্থীরা। কিন্তু কেবল মাত্র বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিমদের নাগরিকত্ব প্রদানের কথা এই বিলে বলা হয়েছে। তারপর থেকেই বিক্ষোভ আরও বেড়েছে তামিলনাড়ুতে বসবাসকারী প্রায় ৬০,০০০ শরণার্থী শ্রীলঙ্কার বাসিন্দাদের।
স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন তামিল শরণার্থীর
নাগরিকত্ব বিলেও তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি জানতে পেরে সালেমে জেলা শাসকের কাছে ক্ষমা হত্যার প্রার্থনা জানিয়েছেন ২৮ বছরের টি ইয়ানাধন। ১৯৯০ সালে শ্রীলঙ্কায় যুদ্ধের সময় তাঁর মা-বাবা ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন। তারপরে ভারতেই জন্ম হয় তাঁর। এখনও সালেমের শরণার্থী শিবিরে থাকেন তিনি। ভারতেই জন্ম হলেও এখনও তিনি ভারতের নাগরিকত্ব পাননি। তিনি জানিয়েছেন তাঁর মতই অসংখ্য যুবক-যুবতী এই শরণার্থী শিবিরে নাগরিকত্ব না পেয়েই রয়েছেন।
রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন
নাগরিকত্ব নিয়ে তামিল শরণার্থীদের ক্ষোভ বাড়ছে। তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল জানিয়েছেন টি ইয়ানাধনের এই আবেদন তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন। এই বিষয়ে তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। নাগরিকত্ব বিল নিয়ে তামিলনাড়ুতেও অশান্তি দেখা দিয়েছে। তামিল শরণার্থীদের নাগরিকত্বের দাবিতে প্রতিবাদ আরও জোরদার হচ্ছে।