কর্নাটকে বিধায়কদের পদত্যাগ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে বুধবার, আদালতকে জানালেন স্পিকার
পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা নিয়ে স্পিকারের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে নালিশ ঠুকেছিলেন কর্নাটকের বিদ্রোহী বিধায়করা। তাঁরা আদালতে জানিয়েছিলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহন করতে দেরি করছেন স্পিকার।
পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা নিয়ে স্পিকারের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে নালিশ ঠুকেছিলেন কর্নাটকের বিদ্রোহী বিধায়করা। তাঁরা আদালতে জানিয়েছিলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহন করতে দেরি করছেন স্পিকার। এবং জোর করে বিধানসভায় উপস্থিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বিদ্রোহী বিধায়কদের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালতকে কর্নাটক বিধানসভার স্পিকার জানান, তাঁকে একদিন সময় দেওয়া হোক। বুধবারের মধ্যে তিনি পদত্যাগ পত্র নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। যদিও কর্নাটক স্পিকারের হয়ে এদিন আদালতে সওয়াল করেন প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি।
তিনি বলেন, বিদ্রোহী বিধায়কদের যে বন্দুকের নলের সামনে রেখে কাজ করতে বলা হচ্ছে তার প্রমাণ কী আছে। যদিও বিদ্রোহী বিধায়কদের আইনজীবী দাবি করেন, ইচ্ছাকৃতভাবেই ওই বিধায়কদের ইস্তফা গ্রহণে দেরি করছেন কর্নাটক বিধানসভার স্পিকার। একটি নির্দিষ্ট দলের সঙ্গে কথা বলতে বাধ্য করা হচ্ছে তাঁদের।
দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানিয়েছেন, কর্নাটকের বিদ্রোহী বিধায়কদের আবেদনের শুনানি আগামিকাল সকাল সাড়ে ১০টায় হবে। এদিকে বৃহস্পতিবার কর্নাটক বিধানসভায় আস্থাভোট হওয়ার কথা। তার আগে যদি বিদ্রোহী কংগ্রেস এবং জেডিএস বিধায়কদের পদত্যাগ পত্রে গ্রহণ করে ফেলেন স্পিকার তাহলে জোট সরকার আস্থা ভোটে জিততে পারবে না। তাই কালের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে কর্নাটকের ভবিষ্যত কি হতে চলেছে।
গত বৃহস্পতিবারই শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল মঙ্গলবার পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের বিষয়ে কোনও রায় দেওয়া হবে না। মঙ্গলবার মামলার শুনানির প্রথমেই স্পিকারের কাছে পদত্যাগ পত্র নিয়ে সিদ্ধান্ত না চাওয়ার কারণ জানতে চায় আদালত। ইতিমধ্যেই জেডিএস-কংগ্রেস জোটের ১৬ জন বিধায়ক এবং ২ নির্দল বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন। ওই বিধায়কদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হলে জোটের ১১৮ সদস্য সংখ্যা ১০০ তে নেমে আসবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যা ১১৩ থেকে ১০৫-এ নেমে আসবে। ওদিকে বিরোধী দল বিজেপির কাছে ১০৫ জন সদস্য এবং ২ জন নির্দল বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। যার জেরে অনায়াসেই সরকার গড়ার দাবি জানাতে পারবে বিজেপি।