চিনা কিটে গলদ, হরিয়ানায় ব়্যাপিড টেস্টিং কিট তৈরি শুরু করল দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা
চিন থেকে আসা ব়্যাপিড টেস্টিং কিটে ধরা পড়ছে না করোনা সংক্রমণ। এমনই অভিযোগ করেছে একাধিক রাজ্য।
চিন থেকে আসা ব়্যাপিড টেস্টিং কিটে ধরা পড়ছে না করোনা সংক্রমণ। এমনই অভিযোগ করেছে একাধিক রাজ্য। তারপরেই সাময়িক ভাবে চিনের তৈরি ব়্যাপিড টেস্টিং কিট ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছে আইসিএমআর। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হরিয়ানার দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা শুরু করেছে কিট তৈরি।
চিনা কিটে গলদ
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ চিহ্নিত করতে ব়্যাপিড টেস্টিং কিট আনা হয়েছিল চিন থেকে। কিন্তু সেই কিটে শনাক্ত হচ্ছে না করোনা ভাইরাস। প্রথম এই অভিযোগ করে রাজস্থান। গেহলট সরকার আইসিএমআরকে জানায় জয়পুরে করোনা আক্রান্ত রোগীদের রিপোর্টও নেগেটিভ আসছ এই চিনা কিট ব্যবহারে। একই অভিযোগ জানায় কেরল এবং তামিলনাড়ুও।
হরিয়ানায় শুরু উৎপাদন
করোনা সংকটের মধ্যে চিনা কিটের গদলে ঘুম ছুটেছে আইসিএমআরের। পরিস্থিতি সামাল দিতে হরিয়ানায় দক্ষিণ কোরিয়া সংস্থার কারখানায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরি হচ্ছে ব়্যাপিড টেস্টিং কিট। হরিয়ানার মানেসরে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয় সংস্থা এসডি বায়োসেন্সর। সেখানেই ৫ লাখ ব়্যািপড টেস্টিং কিট তৈরির কাজ চলছে। দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাসের থেকে বিবৃতি দিয়ে একথা জানানো হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত ভারতের দূত সুপ্রিয়া রঙ্গনাথনের সঙ্গে কথা বলেন সংস্থার সিইও। তারপরেই চুক্তি হয়।
চিনা কিট ব্যবহারে না
চিনা ব়্যাপিড টেস্টিং কিটে গলদ ধরা পড়ার পরেই সব রাজ্যগুলিকে এই কিট ব্যবহার না করার নির্দেশ জারি করেছে আইসিএমআর। যদিও চিন এই গলদের কথা মানতে রাজ। ইতিমধ্যেই করোনা সংকট মোকাবিলায় ভারত চিন থেকে ৭ লাখ ব়্যাপিড টেস্টিং কিট সংগ্রহ করেছে। সেগুলি বিভিন্ন রাজ্যে পৌঁছেও দেওয়া হয়েছিল।