সোনিয়া গান্ধীর ডাকা বৈঠকে হাজির শিবসেনা, এনসিপি সহ বিরোধীরা! ডাক পেল না মমতার দল
লাগাতার কংগ্রেসকে আক্রমণ। কখন রাহুল গান্ধীকে টার্গেট করে তোপ আবার কখনও ইউপিএ নেই বলে স্পষ্ট বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমনকি লড়াইয়ের মানসিকতা নেই বলেও কংগ্রেস আক্রমণ। এই অবস্থায় তৃণমূলকে বাইরে রেখেই বৈঠকে
লাগাতার কংগ্রেসকে আক্রমণ। কখন রাহুল গান্ধীকে টার্গেট করে তোপ আবার কখনও ইউপিএ নেই বলে স্পষ্ট বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমনকি লড়াইয়ের মানসিকতা নেই বলেও কংগ্রেস আক্রমণ। এই অবস্থায় তৃণমূলকে বাইরে রেখেই বৈঠকে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
শরদ পাওয়ারের এনসিপি, শিবসেনা সহ একাধিক বিরোধী শক্তিকে নিয়ে বৈঠক শুরু হয়েছে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহল।
জানা যাচ্ছে, দিল্লিতে সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতেই এই বৈঠক শুরু হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে থাকা শরদ পাওয়ারের দল এনসিপি, ডিএমকে, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত এই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
শুধু তাই নয়, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সোনিয়া গান্ধীর ডাকা এই বৈঠকে রয়েছেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, ফারুক আবদুল্লার মতো বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতারা। কিন্তু এই বৈঠকে তৃণমূলকে আমন্ত্রণ জানানোই হয়নি। ফলে বিরোধী শিবিরে স্পষ্ট ভাঙন।
কিন্তু কি কারনে এই বৈঠক? তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে সুত্রের খবর, এই মুহূর্তে শীতকালীন অধিবেশন চলছে। কিন্তু বহিস্কার হওয়া ১২ সাংসদ প্রত্যেকদিনই ধর্নায় বসছে। বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এই অবস্থায় রণকৌশল কি হবে তা ঠিক করতেই এই বৈঠকে আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, অধিবেশনে নিজেদের ছন্নছাড়া নয়, বরং বিরোধী শিবিরকে একজোট রাখতে এই বৈঠক চলছে। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে সোনিয়া গান্ধী ছাড়াও রয়েছেন রাহুল গান্ধীও।
কিন্তু বিরোধীদের নিয়ে বৈঠক কিন্তু কেন ডাকা হল না তৃণমূলকে? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তবে রাজনৈতিকমহলের একাংশের মতে, প্রতি পদক্ষেপে কংগ্রেসকে তুলোধোনা করেছে তৃণমূল। রাহুল গান্ধী নাম তুলে কখনও অভিষেক তো আবার কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণ শানিয়েছেন। আর এর মধ্যেই রয়েছে দল ভাঙানোর খেলা।
শুধু কংগ্রেস নয়, গোয়াতে একমাত্র এনসিপি বিধায়ককে পর্যন্ত তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছে। এমনকি সংসদে বিরোধীদের ডাকা বৈঠকেও তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধিকে দেখা যায়নি। সেখানে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ স্পষ্ট বিরোধী শিবিরে। আর সেখান থেকেই সম্ভবত তৃণমূলকে বিরোধী শিবিরে চান না কংগ্রেস সভানেত্রী। আর তা এই বৈঠকের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট করে দিলেন। এমনটাই মত রাজনৈতিকমহলের।
উল্লেখ্য, বাদল অধিবেশনে বিরোধীদের আচরনের জন্যে তৃণমূল সহ ১২ সাংসদকে বহিস্কার করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্গাইয়া নাইডু। সেই সময়ের জন্যে শীতকালীন অধিবেশনেও সাংসদদের শাস্তি বহাল রাখা হয়েছে। আর এই ঘটনায় প্রত্যেকদিনই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিরোধীরা। জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলার ভার দেওয়া হয়েছে বর্ষীয়ান নেতা শরদ পাওয়ারকে।