ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে চিন্তিত সনিয়া! করোনা, কৃষি আইন, অর্থনীতি ইস্যুতে কেন্দ্রকে পরপর ইয়র্কার
নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। কৃষি আইন, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, করোনা মোকাবিলা, দেশের অর্থনীতি সহ একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রকে তোপ দাগেন সনিয়া। এদিন তিনি বলেন, 'দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।'
কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ সনিয়ার
এদিন কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগে সনিয়া গান্ধী বলেন, 'তিনটি কালা আইনের মাধ্যমে মোদী সরকার ভারতের কৃষি নির্ভর অর্থনীতির মূলে আঘাত হানছে। বর্তমানে ছোটো চাষী, ভাগচাষী, শ্রমিক ও ছোটো ব্যবসায়ীদের জীবন ও জীবিকা অস্তিত্ব সংকটে। এই ষড়যন্ত্রকে পরাস্ত করতে জোটবদ্ধ হওয়া আমাদের একান্ত কর্তব্য। কৃষকদেরকে বৃহৎ কর্পোরেটের কাছে বন্ধক দেওয়ার ব্যবস্থা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।'
এআইসিসি-র বৈঠকে সনিয়া গান্ধী
সাংগঠনিক রদবদলের পর এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক ও বিভিন্ন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে আদিন বৈঠকে বসেছিলেন সনিয়া। সেই বৈঠকেই কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন তিনি। এদিন সনিয়া কেন্দ্রকে আক্রমণ শানিয়ে দাবি করেন, মোদী সরকার করোনা মোকাবিলা করতে পুরো ব্যর্থ হয়েছে।
করোনা নিয়ে মোদীকে আক্রামণ সনিয়ার
এদিন তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ২১ দিনের মধ্যে করোনাকে শেষ করবেন। তা হয়নি, বদলে দেশের অর্থনীতিকে কেন্দ্র পৌঁছে দিয়েছে খাদের কিনারায়। একদিকে বেকারদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতিতে কাজ হারিয়েছেন ১৪ কোটি মানুষ। আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার নামে কেন্দ্রীয় সরকার শুধু চমক দেওয়ার চেষ্টা করছে।'
দেশজুড়ে দলিত-আদিবাসীদের উপর হামলা
দেশজুড়ে দলিত-আদিবাসীদের উপর ক্রমেই বেড়ে চলা আক্রমণ ইস্যুতেও কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সনিয়া। হাথরাসের ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'মোদী সরকারের আমলে দলিতদের উপর হামলার ও অত্যাচারের মাত্রা বেড়েই চলেছে। ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা এবং জাতপাতের নিরিখে বিভাজন চলছে দেশে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে জঙ্গলরাজ কায়েম হয়েছে।'
ভারতের জন্য ভালো নন বাইডেন, চিনা হুমকির নামে ভারতীয়-মার্কিনিদের কাছে ভোট ভিক্ষা ট্রাম্পের