CBSE-র দশম শ্রেণির প্রশ্ন পত্রের বিতর্কের আঁচ সংসদ অধিবেশনে, তুমুল বিরোধিতায় কী বললেন সোনিয়া গান্ধী
CBSE-র দশম শ্রেণির প্রশ্ন পত্রের বিতর্কের আঁচ সংসদ অধিবেশনে, তুমুল বিরোধিতায় কী বললেন সোনিয়া গান্ধী
CBSE-র দশম শ্রেণির পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের বিতর্কের আঁচ গিয়ে পৌঁছেিছল সংসদ অধিবেশনেও। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী সংসদে এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তিনি এই নিয়ে সিবিএসই বোর্ডকে তীব্র নিশানা করেছেন। তিনি বলেছেন যেভাবে প্রশ্নপত্রের প্যাসেজে লেখা হয়েছে 'স্ত্রীরা স্বামীদের কথা মেনে চলা বন্ধ করে দিয়েছেন এবং সে কারণেই সন্তান ও পরিচারকেরা কোনও কথা শোনে না।''মহিলাদের স্বাধীনতাই সমাজ ও পরিবারে অশান্তির মূল কারণ'। 'স্ত্রীর আস্কারার ফলে বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের উপর তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।' নারীর সম্পর্কে এই ধরনের শব্দ ব্যবহার একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয় বলে সংসদে তার তীব্র সমালোচনা করেছেন সোনিয়া গান্ধী।
সংসদে এই নিয়ে সোনিয়া গান্ধী সরব হওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই নতুন নির্দেশিকা জারি করে সিবিএসই বোর্ড। তাতে বলা হয় এই প্যাসেজের জন্য বরাদ্দ ১০ নম্বরের পুরোটাই পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। তাঁরা সেই প্রশ্নপত্রে যাই লিখুন তার উপর নম্বর নির্ভর করবে না। প্রসঙ্গত উল্লখ্য এই নিয়ে সকাল থেকেই তোলপাড় শুরু হয়েছে গোটা দেশে। ১০ম শ্রেণির প্রশ্নপত্রে 'অবাধ্য স্ত্রী' নিয়ে একটি প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল। প্যাসেজের পর পড়ুয়াদের কাছে এই প্যাসেজের টোন সম্পর্কে লিখতে বলা হয়। তাতে দুটি অপসনও দেওয়া হয়েছিল। এক, 'লেখক একজন পুরুষতন্ত্রে বিশ্বাসী বা অহংকারী'। দুই, 'লেখক জীবনকে হাল্কাভাবে দেখতে অভ্যস্ত'। প্যাসেজটি পড়ার পর অধিকাংশ পড়ুয়াই প্রথমটিতে টিক করবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সিবিএসই বোর্ডের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় অপশনটিকে ঠিক বলে ধরা হচ্ছে। অর্থাৎ 'লেখক জীবনকে হাল্কাভাবে দেখতে অভ্যস্ত। এই অপশনটিতে যাঁরা টিক মার্ক দেবে তারাই পুরো নম্বর পাবে। তারপরেই শোরগোল শুরু হয়ে যায়। অভিভাবকেরাও এই নিয়ে অভিযোগ জানাতে শুরু করেন।
এই
বিতর্কের
আঁচ
গিয়ে
পড়েছে
সংসদেও।
এই
নিয়ে
সরব
হয়েছেন
কংগ্রেস
নেতা
রাহুল
গান্ধী
এবং
প্রিয়াঙ্কা
গান্ধী।
তাঁরা
কটাক্ষ
করে
বলেছেন,
একদিকে
মোদী
সরকার
নারী
প্রতিনিধিদের
বিশেষ
করে
জায়গায়
করে
দিচ্ছে।
নারীদের
সমাজের
কল্যাণে
এগিেয়
আসার
বার্তা
দিচ্ছেন।
আরেক
দিকে
ছাত্রছাত্রীদের
নারী
সম্পর্কে
এইরকম
ধারনা
তৈরি
করছেন।
কারণ
বিজেপি
নারীদের
এরকমই
মনে
করে
বলে
কটাক্ষ
করেছেন
কংগ্রেস
নেতা
রাহুল
গান্ধী
এবং
প্রিয়াঙ্কা
গান্ধী।
বিতর্ক শুরুর আগে বোর্ডের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রমা শর্মা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন, পড়ুয়া ও অভিভাবকরা যে প্রশ্নপত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং যাতে অপ্রগতিশীল চিন্তাধারা ও লিঙ্গ বৈষম্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি বিশেষজ্ঞদের কাছে মতামতের চাইবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই বিতর্কের আঁচ সংসদ পর্যন্ত চলে যাওয়ায় তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে বোর্ড এবং নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয় এই প্রশ্ন যে বা যারা লিখবে তাঁদের পুরো নম্বর দেওয়া হবে এবং য়ারা লিখবে না তাদেরও পুরো নম্বর দেওয়া হবে।