এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের সভাপতি পদে কারা থেকেছেন, এক নজরে
টানা ১৯ বার কংগ্রেসের সভাপতি পদে থেকে এক প্রকার রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন সোনিয়া গান্ধী।
টানা ১৯ বার কংগ্রেসের সভাপতি পদে থেকে এক প্রকার রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন সোনিয়া গান্ধী। এবারও অন্তর্বর্তী সভাপতি পদের দায়িত্ব নিয়ে তিনিই হাল ধরেছেন। সভাপতি কে হবেন তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে এতোদিন কারা কংগ্রেসের সভাপতি পদে ছিলেন তা দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
রাহুল গান্ধী
সবচেয়ে কম সময়ের সভাপতি বলা চলে। কংগ্রেসের ষষ্ঠতম সভাপতি। গান্ধী পরিবারের সদস্য। ২০১৭ সালে সোনিয়া গান্ধীর পর তাঁকেই সর্বসম্মতভাবে সভাপতি পদে বসায় কংগ্রেস। রাহুল দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই কংগ্রেসের মধ্যে নবীন নেতাদের গুরুত্ব বাড়তে শুরু করে। শচিন পাইলট, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এঁদের গুরুত্ব বাড়ে। শক্তিশালী হয় কংগ্রেসের আইটি সেল। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবি প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছিল রাহুলের নেতৃত্বকে। তারপরেই হারের সব দায় নিয়ে সভাপতি পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি।
সোনিয়া গান্ধী
এ যাবত কংগ্রেসের সবচেয়ে দক্ষ এবং দীর্ঘমেয়াদী সভাপতি বলা চলে তাঁকে। টানা ১৯ বছর দলের সভানেত্রীর পদ সামলেছেন তিনি। ১৯৯৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই পদের দায়িত্বে ছিলেন সোনিয়া। বিদেশিনী হলেও কংগ্রেসের স্ট্র্যাটেজি তৈরিতে বিন্দুমাত্র সমস্যা হয়নি তাঁর। ইউপিএ-১ এবং ইউপিএ-২ দুটি সরকারেই কংগ্রেস সফল হয়েছে সোনিয়ার নেতৃত্বে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোেটও কংগ্রেসের ভরাডুবিতে রায়বরেলি কিন্তু দখলে রেখেছিলেন তিনি। আবারও দলের অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।
রাজীব গান্ধী
মা ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের পর অনেকটা আচমকাই তাঁর উপর দলের দায়িত্বভার এসে পড়েছিল। রাতারাতি প্রায় প্রধানমন্ত্রী পদে বসানো হয়েছিল রাজীব গান্ধীকে। অথচ তখনও দলের সঙ্গে তেমন ভাবে জড়িত ছিলেন না তিনি। দেশের ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার গুরুদায়িত্বের সঙ্গে সঙ্গে দলের সভাপতি পদেও বসতে হয় তাঁকে। ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসের সভাপতি পদের দায়িত্ব সামলেছেন রাহুল। তারপরেই ঘটে সেই নারকীয় হত্যাকাণ্ড। মানব বোমা বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন রাজীব।
ইন্দিরা গান্ধী
দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী এবং কংগ্রেসের সভানেত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। দেশের দক্ষ সুশাসক হওয়ার পাশাপাশি দলেরও সুদক্ষ সভানেত্রী ছিলেন তিনি। ১৯৮৪ সালে নিজেরই দেহরক্ষীর গুলিতে মারা যান ইন্দিরা।
জওহর লাল নেহরু
দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। এবং তিনি সবচেয়ে দীর্ঘ সময় দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে ছিলেন। ১৯২৯-১৯৩০ আবার ১৯৩৬-১৯৩৭ এবং ১৯৫১-১৯৫৪ সাল পর্যন্ত টানা কংগ্রেসের সভাপতি পদের দায়িত্বে ছিলেন জওহর লাল নেহরু।
মোতি লাল নেহরু
কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি ছিলেন জওহরলাল নেহরুর বাবা মোতিলাল নেহরু। ১৯১৯ এবং ১৯২৮ সালে তিনি সভাপতি পদের দায়িত্বে ছিলেন।