জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্যে চোখ বুলিয়ে নিন
মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশত জন্মবর্ষ পালিত হচ্ছে দেশ জুড়ে। চলছে প্রার্থনা সহ নানা ধরনের অনুষ্ঠান। তার মধ্যেই দেখে যাক মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য।
মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশত জন্মবর্ষ পালিত হল দেশ জুড়ে। চলেছে প্রার্থনা সহ নানা ধরনের অনুষ্ঠান। তার মধ্যেই দেখে যাক জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য।
নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য পাঁচবার মনোনয়ন
১৯৩৭ থেকে ১৯৪৮ পর্যন্ত পাঁচ বার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনিত হন মহাত্মা গান্ধী। কিন্তু প্রতিবারই তিনি সেই সম্মান প্রত্যাখ্যান করেন। একই সঙ্গে আমেরিকান ফ্রেন্ডস সার্ভিস কমিটির তরফে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়নও প্রত্যাখ্য়ান করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। বিশ্বের ১২টি দেশ ও ৪টি মহাদেশে নাগরিক অধিকার সংক্রান্ত আন্দোলন শুরুর পিছনে তিনিই অনুঘটকের কাজ করেছিলেন।
মহাত্মা গান্ধীর শেষযাত্রা আট কিলোমিটার দীর্ঘ
১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি গুলিবিদ্ধ হয়ে মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যু হয়। তাঁর শবযাত্রা আট কিলোমিটার দীর্ঘ হয়েছিল। ভিড় ঠেলে দিল্লির বিড়লা হাউস থেকে রাজঘাটে সেই যাত্রা পৌঁছতে পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগে গিয়েছিল।
মহাত্মা গান্ধীর সম্মানে ব্রিটেনে স্ট্যাম্প
আজীবন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গেছেন মহাত্মা গান্ধী। অথচ সেই ব্রিটেনই গান্ধীজির প্রয়ানের ২১ বছর পর তাঁর সম্মানে স্ট্যাম্প প্রকাশ করে।
দৈনিক ১৮ কিলোমিটার হাঁটা
আমৃত্যু দিনে ১৮ কিলোমিটার করে হাঁটার অভ্যাস ছাড়েননি মহাত্মা গান্ধী। হিসেব করে দেখা গেছে, হেঁটে গান্ধীজির অতিক্রম করা পথ দুই বার বিশ্ব প্রদক্ষিণ করার সমান।
সেনাতে মহাত্মা গান্ধী
শুরুর জীবন সেনাবাহিনীতে কাটান মহাত্মা গান্ধী। ব্রিটিশদের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বোয়ের্সদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন তিনি। সেই যুদ্ধের ভয়ঙ্কর পরিণতিতে ব্যথিত হয়ে আমৃত্যু অহিংসতার পথ অবলম্বন করেছিলেন।
দেশে-বিদেশে মোট ১০১
ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে মহাত্মা গান্ধীর নামে ৫৩টি রাস্তা রয়েছে। ভারতের বাইরে গান্ধীজির নামে ৪৮টি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে।
[ Gandhi Jayanti 2019: খাবার-ডায়েট নিয়ে 'পরীক্ষা-নিরীক্ষা' চালাতেন গান্ধীজি! কিছু অজানা কথা ]
গান্ধী জয়ন্তী: বিশ্বের 'বৃহত্তম প্লাস্টিক চরকা' পেতে চলেছে দেশের এই এলাকা