গত ৬ দিনে একটি গুলিও চলেনি কাশ্মীরে, দাবি পুলিসের
বিক্ষোভ আন্দোলন না হলেও উস্কানি যে চলছে তা আগেই আঁচ করতে পেরেছিল মোদী সরকার। সেকারণেই বোধ হয় আগে থেকেই কাশ্মীরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে।
বিক্ষোভ আন্দোলন না হলেও উস্কানি যে চলছে তা আগেই আঁচ করতে পেরেছিল মোদী সরকার। সেকারণেই বোধ হয় আগে থেকেই কাশ্মীরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে। অজিত ডোভাল নিজে সেখানে উপস্থিত থেকে যাবতীয় প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করেছেন। এমনকী রাস্তায় নেমে কাশ্মীরিদের সঙ্গে জনসংযোগও করেছেন তিনি। ইদ উপলক্ষ্যে অনেকটাই শিথিল করা হয়েছে আইনের কড়াকড়ি। ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে। রাস্তায় বেরোতে পারছেন সাধারণ মানুষ। ইদের কেনাকাটা শুরু করেছেন তাঁর।
খাবারদাবারও কেনা চলছে স্বাভাবিক পথেই। বাইরের রাজ্যে বসবাসকারী কাশ্মীরিরাও ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। নানা রকম উস্কানিমূলক খবর ছড়াতে শুরু করেছে বলে দাবি করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিস। কিন্তু ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে গত ৬ দিনের উপত্যকায় একটি গুলিও চলেনি বলে দাবি পুলিসের। এমনকী কোথাও কোনও বিক্ষোভও হয়নি।
[আরও পড়ুন:কাশ্মীরে জমি কেনা 'বহিরাগত'দের জন্য খুব সহজ হচ্ছে না! বিজেপি সরকারের নয়া পদক্ষেপ ]
কয়েকদিন আগেই ১০,০০০ কাশ্মীরি রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কাশ্মীরে এই ধরনের কোনও ঘটনাই ঘটেনি বলে দাবি করা হয়েছে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। গুজব ছড়িয়ে উপত্যকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে দাবি পুলিসের।
উৎসবের আগে যাতে এই ধরনের কোনও ঘটনা না ঘটে সেকারণে কাশ্মীর বাসীকে গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে পুলিস। সেনাবাহিনীর তরফেও জানানো হয়েছে একেবারে শান্তিপূর্ণ রয়েছে উপত্যকা। কোথাও কোনও অশান্তির খবর নেই।