জামিয়াকাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল হতেই দিল্লি পুলিশের কাছে কর্তব্যরত কর্মীদের তালিকা চাইল তদন্তকারীরা!
জামিয়াকাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল হতেই দিল্লি পুলিশের কাছে কর্তব্যরত কর্মীদের তালিকা চাইল তদন্তকারীরা!
কয়েকদিন আগেই ভাইরাল হয় জামিয়াকাণ্ডের একটি আনকাট সিসিটিভি ফুটেজ। ভিডিওটিতে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে ঢুকে পুলিশ ছাত্রদের উপর লাঠিচার্জ করছে। এরপরই পুলিশের এই আচরণ নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। এবার দিল্লি পুলিশের কাছে এই বিষয়ে তথ্য চেয়ে পাঠাল ১৫ সদস্যের এক বিশেষ তদন্তকারী দল।
কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের তালিকা চাইল তদন্তকারীরা
জানা গিয়েছে জামিয়াকাণ্ডের রাতে জামিয়া নগর এলাকার অন্তর্গত পুলিশ স্টেশনগুলিতে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে। সেদিন সন্ধ্যায় জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে এক সিএএ বিরোধী বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠুকে লাঠিচার্জ করে দিল্লি পুলিশের বাহিনী। ভিডিওতে দেখা যায়, কম্পিউটার টেবিলে জোরে জোরে লাঠির আঘাত করছেন উর্দিধারীরা। ভয়ে সিঁধিয়ে যাচ্ছেন ছাত্ররা। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক নহলে। দিল্লি পুলিসের আচরণের সমালোচনায় সরব হয়েছিল বিভিন্ন মহল।
বিতর্কিত ভাইরাল ভিডিওর পাল্টা আনকাট ভাডাও প্রকাশ করে দিল্লি পুলিশ
প্রথম ভিডিওটি প্রকাশ পেতেই যখন বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে তখন জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশের লাঠিচার্জের আনকাট ভিডিও প্রকাশ্যে আনে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তাতে দেখা যায় জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসা ছড়াচ্ছিল যাঁরা তাঁরা এসে আশ্রয় নেয় সেই লাইব্রেরিতে। তাঁদের ধরতেই পুলিশ ঢুকেছিল সেখানে। সেখানে পাথর হাতেই ঢুকতে দেখা গিয়েছে হিংসা ছড়ানোয় অভিযুক্ত ছাত্রদের।
কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে তদন্তকারীরা
এদিকে এই ঘটনার তদন্তে গঠন করা হয় একটি বিশেষ তদন্তকারী দল। সেই তদন্তকারী আধিকারিকরাই এবার কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করলেন।
কী হয়েছিল জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে?
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। এই বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করতে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়ে দিল্লি পুলিশ বাহিনী। পুলিশ বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ও লাঠি চার্জ করে। তার আগে সরাই জুলেইনা ও মথুরা রোডে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশের বক্তব্য চারটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ
যদিও দক্ষিণ দিল্লির বিক্ষোভে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ছাত্ররা যুক্ত ছিলেন না বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ওয়াসিম আহমেদ খান এই প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, পুলিশ বাহিনী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। কর্মী এবং ছাত্রদের মারধর করা হয়। তাদের ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়।