'সিধু অস্থির মস্তিষ্কের মানুষ', কংগ্রেস সভাপতির পদত্যাগ নিয়ে বললেন অমরিন্দর
'সিধু অস্থির মস্তিষ্কের মানুষ', কংগ্রেস সভাপতির পদত্যাগ নিয়ে বললেন অমরিন্দর
পঞ্জাব কংগ্রেসে অমরিন্দর বনাম সিধু বেশ পুরনো৷ ২০২২ বিধানসভা নির্বাচনের ৬ মাস আগে সেই বিবাদ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং-কে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়৷ কয়েকদিন আগেই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সিধুর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন ক্যাপ্টেন৷ এরপর মঙ্গলবার সিধু প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই আবার সিধুকে এক হাত নিলেন অমরিন্দর।
কী বললেন অমরিন্দর?
পঞ্জাবের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বললেন, সিধু অস্থির মস্তিষ্কের মানুষ৷ আমি আগেই বলেছি ও কোনভাবেই পঞ্জাবের মতো একটি সীমান্তবর্তী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য নয়। মঙ্গলবার সিধুর পদত্যাগের পর টুইট করে এই কথাগুলি লিখেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
সিধু বনাম অমরিন্দর!
মঙ্গলবার নবজ্যোত সিং সিধু কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়ে দলের পাঞ্জাব ইউনিটের প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন৷ কিন্তু সঙ্গে তিনি এও বলেছেন যে তিনি কংগ্রেসে থেকে কাজ করা অব্যাহত রাখবেন। নিজের পদত্যাগ প্রসঙ্গে সিধু জানিয়েছেন, চরিত্রের সঙ্গে সমঝোতা সম্ভব নয়, আমি কখনই পঞ্জাবের ভবিষ্যত এবং পঞ্জাবের উন্নতির বিষয়গুলো নিয়ে আপস করতে পারব না। অতএব, আমি পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করছি। কংগ্রেসের হয়ে আমি আমার কাজ চালিয়ে যাবো৷
উচ্চাভিলাষী সিধু!
বিজেপিতে থাকাকালীনও সিধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি সিনিয়র নেতাদের নির্দেশ মানতে পারতেন না এবং কোনভাবেই একজন 'টিমপ্লেয়ার' ছিলেন না সিধু। অনেকে এও অভিযোগ করেন সিধু অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার-ই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য ছিল।
কেন পদত্যাগ?
কংগ্রেসে যোগদানের পর থেকেই পঞ্জাবের ন'বছরের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না সিধুর। ক্যাপ্টেনকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য সিধুর প্রচেষ্টায় সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন৷ কিন্তু অমরিন্দর সিংয়ের পরও সিধুকে মুখ্যমন্ত্রী না করে পঞ্জাবের চরণজিৎ সিংকে সেই পদে বসায় কংগ্রেস। এরপর সম্ভবত সিধু বুঝতে পেরেছেন কংগ্রেস পঞ্জাবে আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে জিতলেও সিধু মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবে না। এছাড়াও, তিনি চরণ সিং চান্নিকে রিমোট কন্ট্রোল করতে পারেননি বলেই সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।