জাতীয় সঙ্গীত চলার সময় মঞ্চে বসে পড়লেন নিতিন গড়করি, কিন্তু কেন?
বক্তব্য রাখার সময় অজ্ঞান হয়ে মঞ্চে পড়ে গিয়েছেন, এমন ঘটনা তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েকবার ঘটেছে। ডাক্তাররা বলেছেন তিনি অসুস্থ। এই শরীরে তাঁকে সভা-সমিতিতে যেতে নিষেধও করা হয়েছে।
বক্তব্য রাখার সময় অজ্ঞান হয়ে মঞ্চে পড়ে গিয়েছেন, এমন ঘটনা তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েকবার ঘটেছে। ডাক্তাররা বলেছেন তিনি অসুস্থ। এই শরীরে তাঁকে সভা-সমিতিতে যেতে নিষেধও করা হয়েছে।
কিন্তু কারোরই পরামর্শ কানে নেননি নিতিন গড়করি। অসুস্থ শরীরেই ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচন লড়েছেন, জিতেছেন এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হয়েছেন। দায়িত্ব সামলাতে তাঁকে দৌড়ে বেড়াতে হচ্ছে দিনভর। এই শরীরে এত ধকল কী আর সয়! তাতে যা হওয়ার তাই হয়!
বলতে গেলে অনিচ্ছাকৃত ভাবেই একটি লজ্জাজনক ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন ৬২ বছরের নিতিন গড়করি। মহারাষ্ট্রের এক বিশ্ববিদ্য়ালের অনুষ্ঠানে প্রবীণ বিজেপি নেতা ছিলেন প্রধান অতিথি। অনুষ্ঠান মঞ্চে নিতিন গড়করিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু গোল বাঁধে তারপরেই। মঞ্চের উপর রাখা চেয়ারে বসেই ঝিমোতে শুরু করেন নিতিন গড়করি।
এরই মধ্যে মূল অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। নিয়মমাফিক চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ান নিতিন গড়করি। কিন্তু তারপরেই সেই অবাঞ্ছিত ঘটনাটি ঘটে যায়। গান চলার মধ্যেই অসুস্থ হয়ে চেয়ারে বসে পড়েন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তা দেখে তো অনুষ্ঠানে উপস্থিত পড়ুয়া, অতিথিরা রীতিমতো থ। মঞ্চে ছুটে আসেন উদ্যোক্তারাও। পরে নিতিন গড়করিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এক অনুগামী জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ও ক্লান্ত লাগছিল নিতিন গড়করিকে। গলার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিজেপি নেতাকে কড়া ডোজের ওষুধ খেতে হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তাঁর ওই অনুগামী। সেই ওষুধের জন্য নিতিন গড়করির শরীরে এরকম ক্লান্তি এসেছে কিনা, তা অবশ্য বোঝা যাচ্ছে না। যদিও নিতিন গড়করির শারীরিক অবস্থা নিয়ে ভাবনার কোনও কারণ নেই বলেই জানিয়েছেন ডাক্তার।