Shraddha Murder Case: জঙ্গলের মধ্যে একটা স্যুটকেস! খুলতেই একেবারে হাড়হিম হয়ে গেল পুলিশের
Shraddha Murder Case: জঙ্গলের মধ্যে একটা স্যুটকেস! খুলতেই একেবারে হাড়হিম হয়ে গেল পুলিশের
Shraddha Murder Case: হরিয়ানার (Haryana) ফরিদাবাদের (Faridabad) একটি জঙ্গলে মিলল দেহাংশ রাখা একটি স্যুটকেস! শুক্রবার সকালে সেই বাক্সটি উদ্ধার হয়। আর এরপরেই ফরিদাবাদ পুলিশের তরফে দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, জঙ্গলে উদ্ধার স্যুটকেস থেকে যে দেহাংশ (Shraddha Murder Case) উদ্ধার হয়েছে তা শ্রদ্ধার হতে পারে। লিভ ইন পার্টনার আফতাবের (Aaftab Amin Poonawala) হাতে খুন হওয়া শ্রদ্ধার এখনও বেশ কিছু দেহের অংশ পাওয়া বাকি রয়েছে। ফলে এই ঘটনার সঙ্গে কোনও যোগ আছে কিনা সেটাই এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্লাস্টিকের ব্যাগে ছিল দেহাংশগুলি
জানা যাচ্ছে, সুরজকুন্ড বনাঞ্চলে দেশের একাধিক অংশের সঙ্গে ওই বাক্সটি উদ্ধার করে ফরিদাবাদ পুলিশ (Faridabad Police)। একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে ছিল দেহাংশগুলি। এছাড়াও ওই বাস্ক থেকে বেশ কিছু কাপড় এবং বেল্ট উদ্ধার হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। এই ঘটনার পরেই ফরিদাবাদ পুলিশের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে তদন্তকারীরা বলছেন, এমন ভাবেই দেহগুলি উদ্ধার হয়েছে যে চেনা যাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, অন্য কোনও খুন করে দেহগুলি যে এখানে ফেলা হয়েছে তেমনটাই মনে হচ্ছে বলে দাবি সে রাজ্যের পুলিশের। আর এরপরেই বিষয়টি নিয়ে দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় বলে ওই বিবৃতিতে জানিয়েছে ফরিদাবাদ পুলিশ (Faridabad Police)।
শ্রদ্ধা মৃত্যু রহস্যের যোগ রয়েছে?
শুধু তাই নয়, এরপরেই শ্রদ্ধা মার্ডার কেসের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজন তদন্তকারী ঘটনাস্থলে এসে সরজমিনে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখেন তাঁরা বলে জানানো হয়েছে। তবে এই দেহাংশগুলির সঙ্গে শ্রদ্ধা মৃত্যু রহস্যের যোগ রয়েছে বলেই মনে করছেন দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা। সূত্রে জানাচ্ছে, যে দেহগুলি বাস্ক থেকে উদ্ধার হয়েছে তা কয়েকমাসের পুরানো। তবে সেগুলি কোনও পুরুষের নাকি মহিলার তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যে দেহের অংশগুলিকে ময়নায়তদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে দিল্লি পুলিশের তরফে জানা যাচ্ছে।
গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করছে দিল্লি পুলিশ।
অন্যদিকে শ্রদ্ধা মৃত্যুরহস্যের জট খুলতে ক্রমশ গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করছে দিল্লি পুলিশ। আর ঘটনার মূল অভিযুক্ত Aaftab Poonawala-এর পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়। প্রায় ৬ থেকে সাত ঘন্টা ধরে এই টেস্ট করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। তাতে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে বলেই খবর।