উদ্ধভ ঠাকরের সঙ্গে কথা বললেন নরেন্দ্র মোদী, মন্ত্রক নিয়ে বিরোধিতা বন্ধ করল শিবসেনা
অনন্ত গীতেকে 'ভারি শিল্প'-র মতো হাল্কা মন্ত্রক দেওয়ায় অখুশী শিবসেনা, দায়িত্ব নিতে অস্বীকার মন্ত্রীর:
এমনকী, অন্যান্য মন্তরীদের সঙ্গে শপথও নিয়ে নিয়েছিলেন শিবসেনার একমাত্র নেতা অনন্ত গীতে। কিন্তু শপথের পরেই বেঁকে বসলেন তিনি। বা বলা ভাল বেঁকে বসল শিবসেনা। দলের একমাত্র মন্ত্রীকে দেওয়া মন্ত্রক ও দায়িত্ব নিয়ে অখুশী সিবসেনা নেতৃত্ব। ফলস্বরূপ দায়িত্ব নিতে মানা করে দিলেন গীতে।
সোমবার দিন নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার সদস্য হিসাবে শপথবাক্য পাঠ করেন অনন্ত গীতে। তাঁকে দেওয়া হয় ভারি শিল্প মন্ত্রক। শিবসেনা চায় কোনও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হোক তাঁদের একমাত্র প্রতিনিধিকে। বুধবার উদ্ধব ঠাকরে ফোন করবেন, ভারি শিল্প মন্ত্রকের দায়িত্ব গীতে নেবেন কী নেবেন সে বিষয়ে চূড়ান্ত মত দিতে। তবে অনন্ত গীতে সংবাদ মাধ্য়মকে জানিয়েছেন, 'আমরা এই পোর্ট ফোলিও-র বদল চাই।'
'আশা ছিল,অন্তত ২জন ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবং ২জন রাষ্ট্রমন্ত্রী হবেন শিবসেনা থেকে'
বিজেপির-র দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী শিবসেনা। শিবসেনা-বিজেপি জোট এবারের লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে ৪৮টির মধ্য়ে ৪২টি আসনই পেয়েছে। যার মধ্যে শিবসেনা পেয়েছে ১৮টি আসন এবং বিজেপি পেয়েছে ২৩টি আসন। সেখানে মন্ত্রিসভায় শিবসেনার মাত্র এক প্রতিনিধি থাকাতে কিছুটা অসন্তোষ তৈরি হয় শিবসেনায়। তার উপরে ভারি শিল্পের মতো হাল্কা মন্ত্রক গীতেকে দেওয়ায় তিক্ততা আরও বেড়েছে। এর আগের এনডিএ সরকারে অটল বিহারি বাজপেয়ীর নেতৃত্বে শিবসেনার ৩ মন্ত্রী ছিল। এবার সেটা কমে দাঁড়িয়েছে একে।
শিবসেনা ছাড়াও বিজেপির ১২ জোটসঙ্গীর মধ্যে ৫টি দলকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এদের মধ্যে একটি হল এন চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগুদেশম পার্টি, রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি, প্রকাশ সিং বাদলের শিরোমণি আকালি দল এবং রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির উপেন্দ্র খুশওয়া।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিবসেনার এক প্রবীন নেতা জানিয়েছেন, শিবসেনা নেতাকে ভারি শিল্প মন্ত্রক দেওয়াটা তাৎপর্যপূর্ণ নয় বলেই আমরা মনে করি। তেলেগু দেশম পার্টি আমাদের থেকে কম আসন জিতেও অসামরিক বিমান পরিষেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর পেয়েছে।
অন্যদিকে শিবসেনা সাংসদ বিনায়ক রাউত জানিয়েছেন, আমরা আশা করেছিলাম, অন্তত ২জন ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবং ২জন রাষ্ট্রমন্ত্রী হবেন শিবসেনা থেকে।
যদিও সূত্রের খবর অনুযায়ী, মতবিরোধ ও অসন্তোষ থাকলেও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ক্যাবিনেট বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন গীতে।