মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হুশিয়ারি! হিমাচলপ্রদেশে থেকে হুমকি ফোন কঙ্গনার অনুগামীর
মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হুশিয়ারি! হিমাচলপ্রদেশে থেকে হুমকি ফোন কঙ্গনার অনুগামীর
ক্রমেই নতুন মোড় নিচ্ছে শিবসেনা-কঙ্গনা রানাওয়াত বিতর্ক। সুশান্ত মৃত্যুকাণ্ডের এনসিবি তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রত্যই নতুন সংঘাতের আবহ তৈরি হচ্ছে কঙ্গনা বনাম মহারাষ্ট্র সরকারের মধ্যে। এর আগে মুম্বইকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করে শিবসেনা নেতাদের তোপের মুখে পড়েন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। এবার এই ঘটনার রেশ ধরেই কঙ্গনার অনুগামীদের কাঝ থেকে হুমকি ফোন পেলেন মহারাষ্ট্রের স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ।
কঙ্গনার অনুগামীদের হুমকি ফোন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে
সূত্রের খবর, বুধবার সকাল ৬টা নাগাদ তিনি পর পর দুটি হুমকী ফোন পান বলে সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন। তার মধ্যে একটি আসে হিমাচলপ্রদেশ থেকে। এদিকে সুশান্ত কাণ্ডের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে কঙ্গনা বিতর্ক। এনসিবি-র তদন্তে সুশান্ত মৃত্যুতে জড়িত মাদক চক্রের সঙ্গে বারবার জড়িয়ে যাচ্ছে একাধিক বলিউডি ব্যক্তিত্বের নাম। এদিকে ইতিমধ্যেই ড্রাগ মাফিয়াদের সঙ্গে কঙ্গনার কোনও যোগসাজস আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের কথা বলতে শোনা যায় অনিল দেশমুখকে।
তদন্তের কথা উঠতেই কি হুমকি ফোন ?
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা তদন্তের কথা উঠে আসতেই কঙ্গনার অনুগামীদের তোপের মুখে পড়েন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বুধবারের হুমকি ফোনে অনিল দেশমুখকে কঙ্গনার থেকে দূরত্ব বজায় রাখার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় বলে খবর। না হলে ফল ভাল হবে না বলেও জানায় ফোনের এপারে থাকা ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। এর আগে অনিল দেশমুখের নাগপুরের অফিসে একটা হুমকি ফোন আসে বলে শোনা যায়।
এনসিপি প্রধানের নাম করেও হুমকি
ওই ফোনে এনসিপি প্রধানের নাম করেও হুমকি দেওয়া হয় বলে খবর। ইতিমধ্যেই মুম্বই পুলিশ সমস্ত ঘটনা গুলিই খতিয়ে দেখছে বলে খবর। অন্যদিকে, সাম্প্রতিককালে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির কাছ থেকে হুমকী ফোন পান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও। রবিবার তার বান্দ্রার বাড়ির ল্যান্ড লাইনে নিজেকে দাউদ ইব্রাহিম পরিচয় দিয়ে কোউ ফোন করনে বলে জানা যায়। ওই ফোনেই উদ্ধব ঠাকরের বাসভবন মাতশ্রী উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয় ওই ব্যক্তি।
বাড়িয়ে দেওয়া হয় উদ্ধব ঠাকরের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা
এদিকে এই ঘটনার পরেই অনেকটাই বাড়িয়ে দেওয়া হয় উদ্ধব ঠাকরেরর নিজস্ব ও বাড়ির নিরাপত্তাও। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর কঙ্গনা রানাউত বলিউডের একাধিক বড় বড় ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আওয়াজ তুলতে থাকেন। বিতর্ক যখন ক্রমেই নেপোটিজমের দিকে মোড় নেয়, তখন কঙ্গনা কোনও বড় তারকা অভিনেতা বা পরিচালককে ছেড়ে কথা বলেলনি। পরবর্তীকালে এই ঘটনায় মুম্বই পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠলে কঙ্গনা মহারাষ্ট্রের শিবসেনা সরকারকেও কাঠগড়ায় তোলেন।
দলিত ভোটব্যাঙ্কের লড়াইয়ে যুযুধান দুই শরিক, বিহারে পাসওয়ান বনাম নীতীশ