ঝাড়খণ্ডে বিজেপির হার নিয়ে আক্রমণ শিবসেনার
ঝাড়খণ্ডে বিজেপি হেরেছে নিজের দোষেই এমনই অভিযোগ করেছে শিবসেনা। দলের মুখপত্র সামনায় বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে শিবসেনা। তাঁরা অভিযোগ করেছে ঝাড়খণ্ডের ভোটারদের তেমন গুরুত্ব দেয়নি বিজেপি। ভেবে নিয়েছিল তারাই জিতবে। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই ঝাড়খণ্ডে বিজেপিকে ডুবিয়েছে বলে লেখা হয়েছে সামনায়।

ঝাড়খণ্ডে বিজেপির হার
মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্রের পর ঝাড়খণ্ডও হাতছাড়া হল বিজেপির। কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেিড জোটের কাছে একেবারে ধরাশায়ী হয়েছেন অমিত শাহরা। রাজনীতিকরা একে সিএএ-র জের বলে দাবি করেছেন। অনেকে আবার দাবি করেছেন আদিবাসী সমাজের কাছে পৌঁছতে পারেনি বিজেপি। িহন্দুত্ববাদ আর এনআরসি নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিল তারা। জঙ্গল আর আদিবাসীদের কাছে যে এর থেকে গুরুত্বপূর্ণ তাঁদের অস্তিত্বের লড়াই সেটা বুঝে উঠতে না পারার কারণেই বিজেপির এই হার হয়েছে ঝাড়খণ্ডে।

শিবসেনার আক্রমণ
২৫ বছরের বন্ধত্ব তিক্ততায় পরিণত হয়েছে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের পরে। সম্পর্কের ভাঙন বুঝিয়ে দিয়েছে শরিকদের মধ্যেও ভরসা হারাচ্ছে বিজেপি। মোদী, অমিত শাহের ঘোর বিরোধী শিবসেনা ঝাড়খণ্ডে বিজেপির হারের জন্য তাঁদের ঔদ্ধত্যকেই দায়ী করেছেন। সামনার ঝাড়খণ্ডে বিজেপি হার নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে শিবসেনা তাতে স্পষ্ট লেখা হয়েছে ঝাড়খণ্ডের ভোটারদের গুরুত্ব দেয়নি বিজেপি। যার ফল মিলেছে ভোটবাক্সে। বিজেপি ধরে নিয়েছিলন তারাই জিতবে। এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই ডুবিয়েছে তাদের।

বিজেপি মুক্ত ভারতের পথে এগোচ্ছে
কংগ্রেস মুক্ত ভারত গড়ার ডাক দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু পাঁচ বছপ পর দেখা যাচ্ছে বিজেপি মুক্ত ভারত হতে চলেছে। একের পর এক রাজ্যে ক্ষমতা হারাচ্ছে বিজেপি। প্রথমে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তারপরে ঝাড়খণ্ডেও বিজেপি হারল। ২০১৮-তে যেখানে দেশের ৭৫ শতাংশ অংশ বিজেপির দখলে ছিল। সেটা এখন ৩৫ শতাংশতে এসে দাঁড়িয়েছে। তার অন্যতম কারণ ঝাড়খণ্ডের মাটিতে দাঁড়িয়ে অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদীর ভেদাভেদের রাজনীতির হুঙ্কার। এমনই লেখা হয়েছে শিবসেনার মুখপত্র সামনায়।
'বিজেপি মুক্ত ভারত সম্ভব', খোদ গেরুয়া নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী জানিয়ে দিলেন 'কারণ'