শিনার মৃত্যুর পরও তাকে ও মিখেইলকে হুমকি ইমেল পাঠাতেন ইন্দ্রাণী মুখার্জী!
নয়াদিল্লি, ১১ সেপ্টেম্বর : শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে নতুন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছে তদন্তকারীরা। অভিযোগ, নিজের মেয়ে শিনা ও ছেলে মিখেইলকে হুমকিভরা ইমেল পাঠাতেন ইন্দ্রাণী মুখার্জী।
ইন্দ্রাণী মুখার্জীর ল্যাপটপ পরীক্ষা করতে গিয়ে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছে তদন্তকারীরা। নিজের জিমেল অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিক হুমকিভরা ইমেল ইন্দ্রাণী শিনা ও মিখেইলের কাছে আলাদা আলাদা করে পাঠিয়েছিলেন।
শিনার খুনের এক মাস আগে এই মেল গুলি পাঠানো হয়েছে। ইন্দ্রাণীর জিমেল অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৩টি ইমেল পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে একটি ইমেল শিনাকে উল্লেখ করে লেখা হয়েছিল কিন্তু পাঠানো হয়েছিল মিখেইলকে। তাতে বলা দুজনকেই উত্তরাধিকার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
এর পাশাপাশি ওই মেলে বলা হয়েছিল, যদি শিনা ও মিখেইল তার কথা শুনে না চলে তাহলে তাদের দুজনের প্রত্যেককে যে মাসিক ৪০,০০০ টাকা করে তিনি দেন, তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় যেটা তা হল, এই তিনটি ইমেলের মধ্যে একটি যেখানে শিনার হত্যার আহে ৮ মার্চ , ২০১২ সালে পাঠানো হয়েছিল, সেখানে বাকি দুটো ইমেল শিনার খুন হওয়ার পরে অর্থাৎ ২০১২ সালেরই ৪ মে এবং ৭ জুলাই পাঠানো হয়েছিল।
তদন্তকারীদের অনুমান, ইন্দ্রাণী দুরদর্শী ছিলেন বলেই তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতেই আগে থেকে পরিকল্পনা করেই এই হুমকি মেলগুলি শিনাকে হত্যা করার পরও পাঠিয়েছিলেন।
ইন্দ্রাণীর মেলের কোনও জবাব দেননি মিখেইল। কারণ সে ভয় পেত, অমতে গেলে যদি তার মাসিক ৪০,০০০ টাকা পকেটমানি বন্ধ করে দেন ইন্দ্রাণী। তাই মিখেইল চুপ ছিলেন। কিন্তু মেলের জবাব দিয়েছিলেন শিনা। তিনি ইন্দ্রাণীকে পাল্টা হুমকি দিয়েছিলেন, বর্তমান স্বামী পিটার মুখার্জীর সামনে তিনি ইন্দ্রাণীর মুখোশ টেনে ছিঁড়ে নেবেন।
তবে, এই বিষয়টা এখনও তদন্তকারীদের কাছে পরিষ্কার নয়, কোন বিষয়টি নিয়ে ইন্দ্রাণীর মুখোশ খোলার হুমকি দিয়েছিলেন শিনা। তবে তদন্তকারীগের অনুমান সম্ভবত শিনা ও মিখেইল যে ইন্দ্রানীর ভাই বোন নয়, বরং সন্তান এই সত্যিটাই পিটারকে জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন শিনা।
২০১২ সালে নিখোঁজ হয়ে য়ায় শিনা বোরা। শিনাকে খুনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর মা ইন্দ্রাণী মুখার্জী, ইন্দ্রাণীর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্না ও গাড়ির চালক শ্যাম রাই। খুনের পর তার মৃতদেহ মুম্বইয়ের রায়গড়ের জঙ্গলে ফেলে দেয়। অভিযুক্ত তিনজনই এখন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।