ফসিল হওয়ার পথে কংগ্রেস, তবুও ব্যঙ্গ মোদী-বিজেপিকে
নয়াদিল্লি, ২৩ ডিসেম্বর: কোথাও বিলকুল হাওয়া। কোথাও আবার টিমটিম করে টিকে রয়েছে অস্তিত্ব। তবুও মচকাতে রাজি নয় কংগ্রেস। নিজেদের ব্যর্থতা নয়, বিজেপি কেন একক শক্তিতে জম্মু-কাশ্মীরে জিততে পারল না, কংগ্রেস তা নিয়ে ময়দানে নেমে নেমে পড়েছে। দিনভর সোনিয়া বা রাহুল গান্ধীর টিকিও দেখা যায়নি। অন্যান্য কংগ্রেস নেতারা বিজেপির 'প্রত্যাশিত সাফল্য' কেন এল না, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে ব্যস্ত থেকেছেন।
আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে আদতে বিধানসভা আসন ১১১টি, ৮৭টি নয়
২০০৮ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি পেয়েছিল ১১টি আসন। এ বার তা বেড়ে হয়েছে ২৫টি। দ্বিগুণেরও বেশি। কাশ্মীরের মুসলিমপ্রধান অঞ্চলেও ভালো ভোট পেয়েছে গেরুয়া শিবির। ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে তাদের ভোটের হার হয়েছে ২৩.২ শতাংশ। অন্যদিকে, কংগ্রেসের ছিল ১৭টি আসন। তারা পেয়েছে ১১টি। বিজেপি যখন ভোটের বর্ধিত হারে উল্লসিত, তখন কংগ্রেস এ নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি! সঞ্জয় ঝা, শোভা ওঝা প্রমুখ কংগ্রেস নেতানেত্রীদের দাবি, নরেন্দ্র মোদীকে এই ভোটে প্রত্যাখ্যান করেছে মানুষ। কারণ তিনি দাবি করেছিলেন, কাশ্মীরে ম্যাজিক ফিগার অর্থাৎ ৪৪টি পাবে বিজেপি। সেটা হয়নি। দেশের মোদী-লহর শেষ হয়ে গিয়েছে বলে তাঁদের দাবি।
ঝাড়খণ্ডে তো অবস্থা আরও খারাপ। গতবার কংগ্রেস পেয়েছিল ১৪টি আসন। এ বার তা কমে হয়েছে ৬টি। অন্যদিকে, বিজেপি একাই ম্যাজিক ফিগার অর্থাৎ ৪১টি আসন পেয়ে গিয়েছে। ২০০০ সালে ঝাড়খণ্ড তৈরি হওয়ার পর একক শক্তিতে তারা ক্ষমতায় আসতে চলেছে। তাতে কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া, যতটা প্রচার নরেন্দ্র মোদী করেছিলেন, ততটা সাফল্য পায়নি বিজেপি। ঝাড়খণ্ডের মানুষকে তারা বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে।
কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, "আগে নিজেদের ঘর গোছান। দুই রাজ্যেই তো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না আপনাদের। এর পর তো মুখপাত্র হওয়ার মতো আর কাউকে পাওয়া যাবে না কংগ্রেসে।"
বিজেপি সাংসদ রাজীবপ্রতাপ রুডি বলেন, "আসলে এতদিন ক্ষমতায় ছিল তো! সেই ঘোর এখনও কাটাতে পারছে না। মানুষ নরেন্দ্র মোদীর ওপর, বিজেপির ওপর ভরসা রেখেছে। এখন ভোটের রায়কে বিদ্রুপ করা মানে সাধারণ মানুষকেই অপমান করা।"