মোদীকে ছেড়ে এবার কি লালুর দলে শত্রুঘ্ন সিনহা, আলোচনা রাজনৈতিক মহলে
পটনা সাহিব থেকে বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত শত্রুঘ্ন সিনহা কি ২০১৯-এর নির্বাচনে আরজেডির টিকিটে দাঁড়াচ্ছেন, সেই তথ্যই ঘুরপাক খাচ্ছে বিহারের রাজনৈতিক মহলে।
পটনা সাহিব থেকে বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত শত্রুঘ্ন সিনহা কি ২০১৯-এর নির্বাচনে আরজেডির টিকিটে দাঁড়াচ্ছেন, সেই তথ্যই ঘুরপাক খাচ্ছে বিহারের রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর বিষয়টি নিয়ে লালুপ্রসাদের সঙ্গে কথা হয়েছে বিহারীবাবুর।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিহারী বাবুর সাম্প্রতিক কার্যকলাপে অখুশি বিজেপি নেতৃত্ব। বিষয়টি এতদূর গড়িয়েছে যে ২০১৯-এর নির্বাচনে তাঁকে টিকিট নাও দেওয়া হতে পারে। পটনা সাহিব থেকে দাঁড়াতে পারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। রবিশঙ্কর নিজেও ওই কেন্দ্রে দাঁড়াতে ইচ্ছুক বলে জানা গিয়েছে। পটনা সাহিব কেন্দ্রটি কায়স্থ অধ্যুষিত। সিনহা এবং প্রসাদ উভয়েই কায়স্থ সম্প্রদায় ভুক্ত। শত্রুঘ্ন সিনহার ঘনিষ্ঠ মহলের খবর, তিনি বলেছেন, ওই কেন্দ্রে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যায় রয়েছেন যাদবরা। কায়স্থরা সবসময়ই সিনহাকে সমর্থন করে এসেছে। যদি তিনি আরজেডির হয়ে দাঁড়ান, তাহলে তিনি যাদবদের ভোটও পাবেন। সিনেমার তারকা হওয়ায় বাকিসব সম্প্রদায়ের কাছেও তিনি গ্রহণযোগ্য বলে সূত্রের খবর।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, নেতা হিসেবে শত্রুঘ্ন সিনহা অপছন্দের হলেও, তাঁর প্রতি সমর্থন অটুট রয়েছে। সেই কারণেই ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে সেখান থেকেই নির্বাচিত হয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল লালু প্রসাদের পাশাপাশি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গেও সম্পর্ক ভাল শত্রুঘ্ন সিনহার। কিন্তু পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য জেডিইউ-এর টিকিট তিনি পাবেন না বলেই খবর। সেই জন্যই ২০১৯-এ লালুপ্রসাদের দলের টিকিটেই নির্বাচনে লড়ার সম্ভাবনা প্রবল। যদিও বিজেপি সূত্রের দাবি, সিনহা বিজেপি থেকে দূরে সরে গেলেও, কায়স্থরা বিজেপির থেকে দূরে সরে যাননি। শুরুমাত্র তারকা হওয়ার জন্যই পটনা সাহিব থেকে নির্বাচিত হননি তিনি। প্রথাগত ভাবে কায়স্থরা বিজেপির পক্ষেই, সেইজন্যও ওই কেন্দ্র থেকে পরপর নির্বাচিত হয়েছেন শত্রুঘ্ন।
যদিও কায়স্থ ভোট অটুট রাখতে চেষ্টার কমতি রাখছেন না শত্রুঘ্ন সিনহা। ইতিমধ্যেই রাঁচির চিত্রাংশ সিটিতে তিনি অখিল ভারতীয় কায়স্থ মহাসভার একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। সেখানে জয়প্রকাশ নারায়ণের মূর্তিতেও মাল্যদান করেছেন তিনি।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে দলের সঙ্গে মতবিরোধ হয়েছে শত্রুঘ্ন সিনহার। তাঁর নানা বক্তব্যে অস্বস্তিতেও পড়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
লালুর পরিবারের বিরুদ্ধে বেনামি সম্পত্তি নিয়ে অভিযোগ ওঠার পরও লালুর পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন শত্রুঘ্ন। এমনকি লালুর জোট সঙ্গী নীতীশ যখন লালুর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেন, সেই সময়ও লালুর পাশেই ছিলেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে শত্রুঘ্ন সিনহাকে বিশ্বাসঘাতক বলে টুইটও করেছিলেন বিহার বিজেপির প্রভাবশালী নেতা সুশীল কুমার।