চলতি বছরে সব থেকে নিচে নামল সূচক! সেনসেক্সের পতনে শঙ্কায় বাণিজ্য মহল
বৃহস্পতিবারই বড় ধাক্কা খেয়েছিলেন ইয়েস ব্যাঙ্কের আমানতকারীরা। বৃহস্পতিবার আরবিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইয়েস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে মাথা পিছু ৫০ হাজারের বেশি টাকা তোলা যাবে না আগামী একমাস। পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের প্রকোপে বিশ্বজুড়ে মন্দা তো রয়েছে। এরই জেরে ফের বড় পতন দেখা গেল শেয়ার বাজারে। আজ শেয়ার বাজার খুলতেই সেনসেক্সে বড় পতন দেখা যায়। পতন হয় নিফটিতেও।
২০২০ সালে সব থেকে নিচে নামল সূচক
২০২০ সালে সব থেকে নিচে নেমে আজ সেনসেক্স দাঁড়ায় ৩৭,০৪০ পয়েন্টে। অর্থাৎ আজ বাজার খুলতেই ১৪৫০ পয়েন্ট পতন হয় সেনসেক্সে। এছাড়া নিফটিও প্রায় ৪০০ পয়েন্ট পড়ে। এর মধ্যে সব থেকে বড় পতন হয়েছে ইয়েস ব্যাঙ্কের শেয়ারে। স্বভাবতই গতকাল আরবিআই-এর নির্দেশিকার পর যে আজ ইয়েস ব্যাঙ্কে পতন হবে তা বুঝতে পেরেছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
ব্যাঙ্কিং সেক্টরে বড় পতন
এদিকে ইয়েস ব্যাঙ্কের পাশাপাশি অন্যান্য ব্যাঙ্কিং শেয়ারগুলিতেও পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। যেখানে ইয়েস ব্যাঙ্কের শেয়ারে পতন হয়েছে ২৫ শতাংশ, সেখানে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার শেয়ারেও পতন হয়েছে ১০ শতাংশ। ইন্দাসইন্দ ব্যাঙ্কের শেযারেও ১০ শতাংশ পতন দেখা যায়। এছাড়া ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার গত ৫২ শপ্তাহে সব থেকে নিচে নেমে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
কমেছে টাকার দাম
এদিকে দাম কমেছে টাকারও। এক ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ৭৪ টাকায়। যা গত ১৬ মাসের সর্বনিম্ন। ২০১৮-র ৩১ অক্টোবরের পর টাকার দাম এতটা নেমে গেল।
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিশ্ব বাজারে মন্দা
এদিকে ইউরোপীয় এবং মার্কিন স্টক মার্কেটগুলিতে আবার সূচকে হ্রাস লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মত, চিনের বাইরে করোনা ছড়িয়ে পড়ার খবর আসতেই এই পতন হয়েছে। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলের অর্থনীতি রীতিমতো ঝুঁকির মুখে পড়েছে করোনা ভাইরাস আরও ছড়িয়ে পড়ায়৷ পর্যটন শিল্পের পাশাপাশি এই ভাইরাসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে চিনের আমদানি রফতানিও। এর জেরে এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বিস্তর। যদি আগামী কয়েক সপ্তাহে চিনের উহান শহরে এই মহামারী তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণ না করা যায় তবে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধস নামবে বলে আশঙ্কা অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের৷