গোয়ায় 'খেলা ঘোরা'তে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট চান এনসিপি প্রধান! শুনেই গর্জে উঠলেন কংগ্রেস নেতারা
সংঘাত ভুলে কাছাকাছি আসছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস! এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে গোয়া সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট শুরু হচ্ছে। তবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সে রাজ্যে ভোট।
সংঘাত ভুলে কাছাকাছি আসছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস! এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে গোয়া সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট শুরু হচ্ছে। তবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সে রাজ্যে ভোট।
কার্যত একাধিক ইস্যুতে কার্যত যখন কোনঠাসা মোদী সরকার সেখানে দাঁড়িয়ে এই পাঁচ রাজ্যের ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে দখলে থাকা রাজ্যগুলিকে নিজেদের ক্ষমতায় রাখতে মরিয়া মোদী-শাহ।
তৃণমূল-কংগ্রেস জোটের বার্তা পাওয়ার মুখে
এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল উত্তরপ্রদেশ এবং গোয়া। ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই দুই রাজ্যে দলত্যাগের সংখ্যা বাড়ছে। আর সেই জায়গাতে কাজে লাগাতে মরিয়া বিরোধীরা। গোয়া বিধানসভা (Goa Assembly Elections) নির্বাচনে তৃণমূলকে কাছে পেতে চান (NCP Chief Sharad Pawar) পাওয়ার। তিনি বলেন, গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে একজোট হয়ে লড়তে তাঁর পার্টি কংগ্রেস এবং তৃণমূলের সঙ্গে কথা বলছে। যদিও এখনও এই বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। পাওয়ার মতে, গোয়ার মানুষ বদল চায়। আর বিজেপিকে সরিয়ে পরিবর্তন সরকার সে রাজ্যে প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। তবে এনসিপি প্রধানের ইঙ্গিত যদি সত্যিই হয় তাহলে ফের একবার তৃণমূল এবং কংগ্রেস কাছাকাছি আসবে।
তৃণমূলের সঙ্গে জোট সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন
গত কয়েকদিন আগেই গোয়ার রাজনৈতিক সমীকরণে বদলের আভাস মেলে। তৃণমূলের 'জোটবার্তা'কে স্বাগত জানায় কংগ্রেস। যদিও দেশে ফিরেই গভীর রাত পর্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক করেন রাহুল গান্ধী। যেখানে গোয়ার একাধিক নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে তৃণমূলের সঙ্গে জোটবার্তার যে জল্পনা তৈরি হয় তা খারিজ করে দেন কংগ্রেস মহাসচিব কেসি বেনুগোপাল। তিনি বলেন, তৃণমূলের সঙ্গে জোট সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন একটি খবর।
তৃণমূলের সঙ্গে জোট কোনও ভাবেই সম্ভাবনা নেই
কেসি বেনুগোপাল টুইট করে জানান, গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের সঙ্গে জোট কোনও ভাবেই সম্ভাবনা নেই। আমরা আমাদের দলের উপর ভরসা রাখছি, এবং আমাদের বিশ্বাস রয়েছে যে খুব শিঘ্রই গোয়াকে উন্নয়নের রাস্তায় আমরা ফিরিয়ে আনব। শুধু তিনিই নয়, কংগ্রেস নেতা দিনেশ এবং গুড্ডূ রাও বলেন, তৃণমূলের সঙ্গে জোটের বিষয়ে কোনও আলোচনাই হচ্ছে না। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বলেন, তৃণমূল দিনের পর দিন আমাদের দলের বিধায়ক, নেতাকে টাকার জোরে কিনেছে। আর তাঁদের আসন দিতেই আমাদের সঙ্গে জোটের কথা বলছে বলে দাবি ওই নেতার। যদিও এই বিষয়ে এনসিপি প্রধানের তেমন কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উত্তরপ্রদেশেও খেলা ঘোরানোর হুঁশিয়ারি
তবে শরদ পাওয়ার জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে এনসিপি লড়বে। বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দলের সঙ্গে তাঁরা হাত মিলিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন এনসিপি প্রধান। এমনকি অখিলেশের সঙ্গেও তাঁরা জোট নিয়ে আলোচনা চলছে। তাঁর মতে, উত্তরপ্রদেশও বিজেপির থেকে সরে আসতে চায়। আর সেটাই তাঁরা করে দেখাবেন বলে হুঁশিয়ারি এনসিপি প্রধানের।