লকডাউনে রেশন কার্ড ছাড়া খাদ্য দিতে হবে যৌনকর্মীদের, রাজ্য–কেন্দ্রকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
লকডাউনে রেশন কার্ড ছাড়া খাদ্য দিতে হবে যৌনকর্মীদের
করোনা আবহের জেরে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মতোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যৌন কর্মীদের ব্যবসাও। তাঁদের কাছে বিকল্প কোনও রাস্তা না থাকার কারণে এই লকডাউনে জীবন কাটানো একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়েছে যৌন কর্মীদের কাছে। এরকম পরিস্থিতিতে তাঁদের সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকারগুলিকে এক সপ্তাহের সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, যাতে সরকারের পক্ষ থেকে যৌন কর্মীদের বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হয়। শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে কেন্দ্রকেও জিজ্ঞাসা করা হয় যে যাতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে কিছু সরবরাহ করা যায় কিনা।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এল এন রাও এবং হেমন্ত গুপ্তার বেঞ্চ বলেন, 'এটা মানবিক সমস্যা। রেশন কার্ডের জন্য মানুষ রেশন পাচ্ছে না। তাঁরা চরম সঙ্কটের মধ্যে রয়েছ।’ দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে শীর্ষ আদালতে এ সংক্রান্ত আবেদন করা হয়েছিল। আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, 'এ বছর ২৪ মার্চ দেশজুড়ে যখন লকডাউন ঘোষণা করা হয়, তখন থেকেই কোনও কাজ ও উপার্জন একেবারে বন্ধ। এপ্রিল ও মে মাসে যৌনকর্মীরা তাঁদের স্বল্প সাশ্রয়ের মাধ্যমে বেঁচে ছিলেন এবং বেঁচে থাকার জন্য অত্যাধিক সুদের হারে ঋণ নিয়েছিলেন। অনেকেই চ্যারিটি বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দয়ার ওপর বেঁচে আছেন।’
কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করা বরিষ্ঠ আইনজীবী আনন্দ গ্রোভার এ প্রসঙ্গে বলেন, 'অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র তেলঙ্গানা ও তামিলনাড়ুতে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে যৌন কর্মীদের কাছে খাদ্য খুব প্রয়োজনীয় জিনিস এবং এই পাঁচ রাজ্যের ১.২ লক্ষ যৌন কর্মীদের মধ্যে মাত্র ৫২ শতাংশ রেশন নিয়েছে পিডিএসের মাধ্যমে। অন্যান্য শহরের হাল আরও করুণ।’ তিনি আদালতের কাছে দাব জানান যে রেশন কার্ড ছাড়াও যৌন কর্মীদের জন্য বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করা হোক। কারণ অধিকাংশ যৌন কর্মীর সঠিক পরিচয় পত্র নেই। তিনি এও জানিয়েছেন যে ২০১১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর এই একই সুপারিশ শীর্ষ আদালত মেনে নিয়েছিল।
ন্যাশনাল এইডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের মতে দেশে ৮.৬৮ লক্ষ মহিলা যৌন কর্মী রয়েছেন এবং ১৭টি রাজ্যে ৬২,১৩৭ জন রূপান্তরকামী, যাদের মধ্যে ৬২ শতাংশ যৌন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে এলপিজি গ্যাস সহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন। এমনকী তাঁদের ওষুধ, স্বাস্থ্য–চিকিৎসা, তাঁদের শিশুদের স্কুলে পাঠানোর সব বন্দোবস্তই এই যোজনার অন্তর্গত করা হয়েছে।
পরিচালক অনুরাগ কশ্যপের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ বলিউড অভিনেত্রীর