'১৭ বছরে প্রথম ধর্ষণ, ধরা পরিনি তাই আত্মবিশ্বাস বেড়েছিল', হাড় হিম করা স্বীকারোক্তি সিরিয়াল ধর্ষকের!
নয়াদিল্লি, ২০ জুলাই : পুলিশের হাতে ধরা পরেছে সিরিয়াল ধর্ষণকারী রবীন্দ্রকুমার। পুলিশের জেরায় সে যা যা স্বীকার করল তা হাড় হিম করা।[(ভিডিও) উলটপুরাণ: অটো চালককে 'ধর্ষণের চেষ্টার' অভিযোগে গ্রেফতার এক মহিলা!]
রবীন্দ্রকুমারের দাবি, বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করার পর সে একেবারে অন্য মানুষ হয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত রাজধানীর বুকে ১৫টি শিশুর অপহরণ, ধর্ষণ ও খুন করেছে বলে সে নিজের মুখেই স্বীকার করেছে। [দিল্লিতে প্রতিদিন গড়ে ধর্ষিতা হন ৫ জন, সম্ভ্রম খোয়ান ১২ জন মহিলা : রিপোর্ট]
১৭ বছর বয়সে জীবনের প্রথম বড় অপরাধ করেছিল রবীন্দ্রকুমার। মেট্রো নির্মাণ এলাকা থেকে এক শ্রমিকের মেয়েকে অপহরণ করে তার নির্মমভাবে ধর্ষণ করেছিল। তারপর দেহটি পুঁতে দিয়েছিল। পুলিশের কথায় ওই ঘটনার কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি তাই সেই অপরাধের কোনও রেকর্ডও মেলেনি।
{photo-feature}
রবীন্দ্রকুমার এও জানিয়েছে, "প্রথমবারই ধরা পরিনি, আর তার ফলে অপরাধ করার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গিয়েছিল।" ২০০৯ সালে বিজয় বিহার থেকে এক শ্রমিকের ছেলেকে অপহরণ করে এবং শ্বাসরোধ করে খুন করে। একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু পোক্ত সাক্ষীর অভাবে ফের ছাড়া পেয়ে য়ায় অপরাধী।
রবীন্দ্রর দাবি, তাঁকে শনাক্ত করে ফেলায় বা তাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করায় ১১ জনকে খুন করেছে সে। পুলিশ জানিয়েছে, সাধারণ দুপুরে বা ভোরের সময় অপরাধমূলক কাজ করত রবীন্দ্র।
তদন্তকারী এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, রবীন্দ্রকুমার বিভিন্ন কলোনিতে ঘুরে বেড়াত। সেখানে যে বাচ্চারা বাড়ির বাইরে খেলা করত বা দূরের শৌচালয় যেত তাদের টাকা ও লজেন্সের লোভ দেখিয়ে বাগে আনত সে। কেউ রবীন্দ্রকুমারের লোভে পা না দিলে তার মুখ টিপে তুলে নিয়ে যেত সে।
রাজধানী দিল্লিতে তিন বছরের শিশুকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ
২০১১ সালে কাঞ্ঝাওয়ালা এবং মুণ্ডকা এলাকায় দুটি অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে সে।
২০১২ সালে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য যখন সে আলিগড়ে আত্মীয়ের বাড়ি যায় সেখানে ১৪ বছরের দুই বান্ধবীকে সে টার্গেট করে। তারা এই বিষয়ে কাউকে কিছু বলবে না একমাত্র এই শর্তে তাদের যেতে দেয় রবীন্দ্র। সে নিজে মুখে স্বীকার করে নিয়েছে যে ওই এলাকাতেই আরও ৩ জন শিশুর উপর সে অত্যাচার চালিয়েছিল।
২০১৩ সালে নয়ডায় একই ধরণের আরও ২টি অপরাধ করে রবীন্দ্র। পুলিশ জানিয়েছে, রবীন্দর স্বীকার করে নিয়েছে, সেখানকার একটি পরিবহন সংস্থায় সাফাইকর্মী হিসাবে কাজ করত সে। সেখানেও একই ধরণের আরও ২টি ঘটনা ঘটিয়েছিল। পুলিশ তার দেওয়া তথ্যগুলি যাচাই করে দেখছে।
পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মনোরোগ চিকিৎসকদের দিয়ে রবীন্দ্রর মানসিক অবস্থার পরীক্ষা করানো হবে। ব্রেন ম্যাপিং পদ্ধতিও ব্যবহার করা হতে পারে।
তদন্তকারি এক পুলিশ অফিসারের কথায়, জেরায় রবীন্দ্র জানিয়েছে, সে মূলত তার দুই বন্ধু ধর্মেন্দ্র ও কিষনের সঙ্গে পর্নো ছবি দেখতে দেখতে মদ্যপান করত। এরপরই শিশুদের খোঁজে এখানে ওখানে ঘুরে বেড়াত। সে পুলিশকে জানিয়েছে, নিজের জন্য নয়, বন্ধুদের জন্য শিশুদের খুঁজতে বেরতে সে।