দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের জিডিপি রিপোর্ট প্রকাশের আগেই পতন শেয়ার বাজারে
দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার কমতে থাকলেও কয়েক দিন ধরেই চাঙ্গা হচ্ছিল শেয়ার বাজার। তবে আজ চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক জিডিপি রিপোর্ট প্রকাশের আগেই শেয়ার মার্কেটে পতন দেখা গেল।
দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার কমতে থাকলেও কয়েক দিন ধরেই চাঙ্গা হচ্ছিল শেয়ার বাজার। তবে আজ চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক জিডিপি রিপোর্ট প্রকাশের আগেই শেয়ার মার্কেটে পতন দেখা গেল। আজ বাজার চালু হতেই ১০০ পয়েন্ট পতন হয় সেনসেক্সের। প্রসঙ্গত গতকাল, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সর্বকালীন শিখরে পৌঁছায় শেয়ার বাজার। গতকাল, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বাজার ৪১, ১৬৩.৭৯ পয়েন্টে বন্ধ হয়।
দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের জিডিপি প্রকাশ আজ
শুক্রবার প্রকাশ পেতে চলেছে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের ভারতীয় জিডিপি। পরিসংখ্যান এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন মন্ত্রকের তরফে এই তথ্য প্রকাশ করা হবে। চলতি আর্থিক বর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি কমে ৫ শাতংশে দাঁড়ায়। গত ৬ বছরে যা সব থেকে কম। দ্বিতীয় ত্রৌমাসিকে সেই প্রবৃদ্ধির হার আরও কমে ৪.৩ শতাংশে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এবার নতুন তথ্যের দিকে তাকিয়ে দেশবাসী।
১৫৮ পয়েন্ট পতন সেনসেক্সে
এই আহবে সকালে বাজার খুলতেই সেনসেক্স ১৫৮.৯৭ পয়েন্ট বা ০.৩৯ শতাংশ পড়ে যায়। যার জেরে সেনসেক্স দাঁড়ায় ৪০, ৯৭১.২০ পয়েন্টে। অন্য দিকে পতন হয় নিফটিরও। ৩৮.৪৫ পয়েন্ট বা ০.৩২ শতাংশ পড়ে যায় নিফটির সূচক। যের জেরে নিফটি দাঁড়ায় ২১,১১২.৭০ পয়েন্টে।
কে কে লাভে?
সকালে বাজার খুলতেই সব থেকে বেশি লাভজনক কোম্পানিগুলোর মধ্যে ছিল টাটা মোটর্স, টেক মহিন্দ্রা, এনটিপিসি, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, ভারতী এয়ারটেল। অপর দিকে লোকশানের মুখ দেখেছে টাটা স্টিল, আইসিআইসিআই, কোটাক ব্যাঙ্ক, ইন্ফোসিস।
অর্থনীতি নিয়ে এখনও ইতিবাচক সুর অর্থমন্ত্রীর গলায়
এদিকে দেশে এই মুহূর্তে মন্দা পরিস্থিতি রয়েছে অভিযোগে বারবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিরোধীদের কথার জবাব দিতে গিয়ে এদিন অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ফলপ্রসূ হচ্ছে, তার ফলে বিভিন্ন সেক্টর যেমন অটোমোবাইল সেক্টরে পুনরায় ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। পাশাপাশি যে পদক্ষেপগুলি কেন্দ্রের তরফে নেওয়া হচ্ছে সেগুলিও রেকর্ড করে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্মলা। তিনি বলেন, ২০০৯-২০১৪ শেষে ভারতের আসল জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৪ শতাংশ, কিন্তু ২০১৪-২০১৯ সালের মধ্যে এটি ছিল ৭.৫%। অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর কংগ্রেস সদস্যরা সভাকক্ষ ত্যাগ করেন।