করোনার জেরে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের দংশন কি শুরু!আইসিএমআর-এর রিপোর্ট কী জানান দিল
বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ রিসার্চ জানার চেষ্টা করছিল যে আদৌ ভারতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে করোনার জেরে কি না। আর তার খানিকটা ইঙ্গিত পেয়ে গিয়েছে আইসিএমআর। অন্তত সেরকমই রিপোর্ট দিচ্ছে আইসিএমআর এর ব়্যান্ডম স্যাম্পলিং এর টেস্টের নয়া তথ্য, এমনই দাবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে উঠে এসেছে।
আইসিএমআর কী বলছে?
গত ৫ সপ্তাহ ধরে গবেষণা চালাচ্ছে আইসিএমআর ।৫,৯১১ টি কোভিড ১৯ রোগীকে তারা টেস্ট করেছে। যাঁদের মধ্যে ১০৪ জনকে পজিটিভ পেয়েছে তারা। ২০ টি রাজ্যে ৫২ টি জেলায় এটি চলেছে। আর তা থেকেই কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের বহু চিহ্ন তারা পেতে শুরু করেছে।
কোন ইঙ্গিত মিলল কোন সূত্র ধরে
আইসিএমআর এর দ্বিতীয় রিপোর্ট বলছে, ভারতে ৪০ টি এমন মামলার কথা জানা গিয়েছে যেখানে বিদেশ থেকে আসার কোনও তথ্য নেই রোগীর। অথচ তিনি কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত। ১৫ টি রাজ্যে সেভার অ্যাকিউট রেসপিরেটারি ইলনেসের শিকার অন্তত ১ শতাংশ মানুষ। যা খুব একটা ভালো ইঙ্গিত নয়।
দ্বিতীয় রিপোর্টে আর কোন তথ্য?
এদিকে, আইসি এমআর এর দ্বিতীয় রিপোর্ট বলছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভারতে পুরুষদের মধ্যে কোভিড ১৯ এর ঘটনা বেশি দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে, মহিলাদের মধ্যে এর শতাংশের হার কম। বহু ,করোনা আক্রান্ত রোগীর বয়সই ৫০ এর বেশি বলে দেখা গিয়েছে আইসিএমআর রিপোর্টে।
কোনপথে সমাধান?
আইসিএমআর এর সর্বশেষ রিপোর্ট বলছে, সংক্রমণ বন্ধ করার রাস্তাই একমাত্র দাওয়াই করোনা রখোরা ক্ষেত্রে। আর ভারতকে আপাতত তাই করতে হবে। আর তার জন্য সোশ্যাল ডিসটেন্সিং এর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি।