সম্পর্ক তলানিতে, মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপি-সেনা বিধায়কদের ধস্তাধস্তি
শরিকি সম্পর্কে ছেদ পড়ার পর সম্পর্কের আরও অবনতি বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে। মঙ্গলবার পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যেখানে মহারাষ্ট্র বিধানসভার মধ্যেই প্রায় হাতাহাতি হয়ে যায় দুই দলের বিধায়কদের মধ্যে।
ঘটনার সূত্রপাত উদ্ধব ঠাকররে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করায়। মহারাষ্ট্রে কৃষকদের অবস্থা নিয়ে বিজেপি মহা বিকাশ আঘআড়ি সরকারকে আক্রমণ করলে উদ্ধব বিজেপি বিধায়কদের বলেন, 'আমরা আমাদের বিরুদ্ধে যতটা আক্রমণাত্মক ততটা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নন কেন? তারাই তো কৃষকদের জন্য কোনও তহবিল রাজ্যকে দিচ্ছে না।' কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এই আক্রমণের পরেই আরও উত্তপ্ত হয়ে যায় বিধানসভার ফ্লোর। পরিস্থিতি হাতাহাতির পর্যায়তেও চলে যায়। যদিও এরপরও উদ্ধাব দাবি করেন, কেন্দ্র থেকে তহবিল না পেলেও রাজ্য কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে।
এরপর জামিয়া কাণ্ড নিয়ে উদ্ধবের মন্তব্যের জেরে আরও সমালোচনার ঝড় ওড়ায় বিজেপি। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা তথা মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, 'জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাকে জালিয়ানওয়ালাবাগের সেই ঘটনার সঙ্গে তুলনা করে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে সেই সকল শহিদদের অপমান করেছেন। যেই সকল বীররা আমাদের দেশের জন্য নিজেদের প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের উদ্ধবজী অপমান করছেন।'
দিল্লিতে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের উপর পুলিসি নির্যাতনের ঘটনাকে জালিয়ানওয়ালা বাগের সঙ্গে তুলনা করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। ছাত্রদের উপর এই ধরনের নির্যাতন থেকে বিরত থাকার জন্য মোদী সরকারকে অনুরোধ করেছেন তিনি। এই মন্তব্যের পরে বিজেপ-সেনা দুরত্ব যে আরও দীর্ঘায়িত হচ্ছে তা স্পষ্ট হয়ে যায়।
এদিকে জামিয়া কাণ্ডে কেন্দ্রকে তোপ দেগে শিবসেনার মুখপত্র সামনার প্রতিবেদনের কাটআউট নিয়ে বিজেপি বিধায়ক অভিমন্যু পাওয়ার স্পিকারের কাছে যেতে চাইলে তাঁকে আটকান সেনা বিধায়করা। পরিস্থিতি ধস্তাধস্তি থেকে মারামারিতে গড়ানোর সম্ভাবনা দেখা দেয়।