বিপাকে বিজেপি, মধ্য প্রদেশের আস্থা ভোট নিয়ে হস্তক্ষেপে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট
বিপাকে বিজেপি, মধ্য প্রদেশের আস্থা ভোট নিয়ে হস্তক্ষেপে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট
মধ্য প্রদেশের আস্থাভোট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে সমস্যা বাড়ল বিজেপির। বিজেপির করা মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট অবশেষে জানিয়েছে মধ্য প্রদেশের আস্থা ভোটে নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না তারা। এটা বিধায়কদের দািয়ত্ব। তাদেরই সেটা করতে হবে। এচা সাংবিধানিক বেঞ্চের কাজ। এমনই জানিেয়ছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং হেমন্ত গুপ্তার বেঞ্চ।
সুপ্রিম সিদ্ধান্তে চাপে বিজেপি
মধ্য প্রদেশের আস্থাভোট পিছিয়ে দেওয়ার বিরোধিতায় শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান সহ রাজ্য বিজেপির নেতারা। সেই মামলায় গতকাল কমলনাথকে নোটিস পাঠায় শীর্ষ আদালত। আজ কমলনাথ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিজেপি তাঁদের বিধায়কদের অপহরণ করে নিয়ে গিেয়ছে। সেই ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক ছাড়া আস্থাভোট সম্ভভ নয়। তারপরেই বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং হেমন্ত গুপ্তার বেঞ্চ জানায় মধ্য প্রদেশের আস্থাভোটে নিেয় তাঁরা আর হস্তক্ষেপ করবে না। এটা সাংবিধানিক বেঞ্চের বিচার্য বিষয়।
আস্থাভোট পিছল
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই আস্থাভোট দাবি করে বিজেপি। সেই মত সোমবার আস্থাভোট করানোর কথা ছিল মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায়। কিন্তু অধিবেশন শুরুর পরেই করোনা ভাইরাস আতঙ্কে বন্ধ করে দেওয়া হয় বিধানসভা। ২৬ মার্চ পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয় আস্থা ভোট। তারপরেই আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য বিজেপি নেতারা।
বিদ্রোহীরা ফিরছে না
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগেই বেঙ্গালুরুতে একটি রিসর্টে আশ্রয় নিয়েছে বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়করা। তাঁরা নিজেদের পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েও দিয়েছেন। কিন্তু স্পিকার তাঁদের পদত্যাগ পত্র গ্রহন করেননি। বিধানসভায় হাজির হয়ে তাঁদের পদত্যাগের কারণ জানাতে বলা হয়েছে। এদিকে গতকাল বেঙ্গালুরু থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে বিদ্রোহী বিধায়করা জানিয়ে দেয় তাঁরা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকেই নেতা বলে মনে করেন।