ধর্ম পরিবর্তন করেননি সমীর ওয়াংখেড়ে, নিকাহনামা বিতর্কের মাঝে দাবি স্ত্রী ক্রান্তির
ধর্ম পরিবর্তন করেননি সমীর ওয়াংখেড়ে, নিকাহনামা বিতর্কের মাঝে দাবি স্ত্রী ক্রান্তির
শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খানকে গ্রেফতারের পর থেকে 'হিরো' হয়ে যান সমীর ওয়াংখেড়। আর এভাবে 'হিরো' হয়ে ওঠাই যে কাল হয়ে হবে তা বোধহয় ঘুণাক্ষরেও টের পাননি এনসিবি কর্তা। আর সেই কারনে বারবার টার্গেট করা হচ্ছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনকে। প্রশ্ন তোলা হচ্ছে তাঁর ধর্ম নিয়ে। এমনকি জাল জাতি শংসাপত্র ব্যবহার করে চাকরি পেয়েছেন ওয়াংখেড়ে। এমনটাও অভিযোগ তোলা হচ্ছে। বুধবার সকালে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এবং প্রমাণ সামনে আনার দাবি মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীর। যা নিয়ে নতুন করে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি।
অস্বস্তি বাড়িয়েছেন সমীর ওয়াংখেড়ের প্রাক্তন স্ত্রী
আর এই বিতর্কের মধ্যেই অস্বস্তি বাড়িয়েছেন সমীর ওয়াংখেড়ের প্রাক্তন স্ত্রী। জাতীয়তাবাদী কংগ্রেসের মুখপাত্র নবাব মালিকের বিস্ফোরক টুইটের পরেই মোজাম্মিল আহমেদের দাবি, নিকাহ নামা সত্যি। সেখানে আমারই সাক্ষর রয়েছে। নিকাহ হওয়ার সময়ে সমীরের পরিবারের প্রত্যেকেই মুসলিম ছিলেন বলেও বিস্ফোরক দাবি প্রথম স্ত্রীয়ের। শুধু তাই নয়, তাঁর আরও দাবি, যদি সে মুসলিমই না হয় তাহলে নিকাহ কখনই হত হয়। এমনকি মালিকের টুইট করা জাতি শংসাপত্র এবং নাম সত্যি বলে বিস্ফোরক দাবি মোজাম্মিল আহমেদের।
সমীরের পাশে বর্তমান
একদিকে যখন ধর্ম, জাত সহ একাধিক ইস্যুতে সমীর ওয়াংখেরকে আক্রমণ করা হচ্ছে তখন সেই বিতর্কে কার্যত আহুতি দিলেন সমীর ওয়াংখেড়ের প্রাক্তন স্ত্রী মোজাম্মিল আহমেদ। তাঁর বক্তব্যে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও এই অবস্থায় সমীরের পাশে রয়েছেন বর্তমান স্ত্রী Kranti Redkar। তাঁর দাবি, নিকাহ সত্যি হলেও কোনও দিনই ধর্ম পরিবর্তন করেননি সমীর।
এই বিয়েতে আমি রাজি ছিলাম না
এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুয়ায়ি মোজাম্মিল আহমেদ আরও জানিয়েছেন যে, ২০০৬ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। একটি বাগানের মধ্যে বিয়ে হয় তাদের। তাঁদের বিয়েতে একাধিক হাই-প্রোফাইল অতিথি উপ্সথিত চিলেন বলেও দাবি মোজাম্মিলের। শুধু তাই নয়, খুব দ্রুত সমস্ত কিছু ব্যবস্থা করা হয়। আর মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে নিকাহ নামা পড়া হয় বলেও দাবি প্রাক্তন স্ত্রীয়ের। গোটা বিয়ে ইসলামিক রীতি মেনেই হয়। সেই সময় আমি জানতাম সমীর একজন হিন্দু। আর তাই এই বিয়েতে আমি রাজি ছিলাম না। কারন শরিয়ত আইন অনুয়ায়ী, এই বিয়ে কখনই বৈধ হয় না। কিন্তু বিয়ের সময় সমীর সহ গোটা পরিবার, আত্মীয়। আইনজীবী সবাই মুসলিম ছিলেন বলে দাবি। ফলে সমীরকে নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক ক্রমশ বাড়ছেই।
জাল জাতি শংসাপত্র ব্যবহার করে চাকরি পেয়েছেন ওয়াংখেড়ে!
উল্লেখ্য আজ নবাব মালিকের দাবি করেন,জাল জাতি শংসাপত্র ব্যবহার করে চাকরি পেয়েছেন ওয়াংখেড়ে। ওয়াংখেড়ের প্রথম বিয়ে এবং তাঁর 'নিকাহ নামা'র ছবি শেয়ার করেছেন মালিক। মন্ত্রী টুইটে লিখেছেন, আমি এটা জানাতে চাই যে আমি যে সমস্যাটি সামনে এনেছি তাতে সমীর ওয়াংখেড়ের ধর্ম সম্পর্কিত নয়, আমি এটাই সামনে আনতে চেয়েছি যে, প্রতারণামূলক উপায়ে পাওয়ার জন্য একটি জাল শংসাপত্র পেয়েছেন তিনি এবং একজন যোগ্য তফসিলি জাতিভুক্তকে তাঁর ভবিষ্যত থেকে বঞ্চিত করেছেন।