‘সমলিঙ্গ বিবাহ ভারতীয় মূল্যবোধের পরিপন্থী’! জানাল কেন্দ্র, শোরগোল সমাজের বিভিন্ন মহলে
‘সমলিঙ্গ বিবাহ ভারতীয় মূল্যবোধের পরিপন্থী’! জানাল কেন্দ্র, শোরগোল সমাজের বিভিন্ন মহলে
বছর দুই আগেই সমকামিতা কোনও অপরাধের তালিকায় পড়ে না বলে সাফ জানায় সুপ্রিম কোর্ট। বাতিল করা হয় ৩৭৭ ধারাও। সূত্রের খবর, ব্রিটিশ শাসনামলে তৈরি এই আইন বলে আগে কোনও ব্যক্তির ১০ বছর পর্যন্ত হাজাতবাসেরও নিদান দিত আদালত। কিন্তু বর্তমানে সমকামীতা আইনি স্বীকৃতি পেলেও সমলিঙ্গের ব্যক্তিদের মধ্যে বিবাহ সংক্রান্ত জটিলতা বেড়েই চলেছে।
সমকামী বিবাহ ভারতীয় সমাজব্যবস্থার পরিপন্থী
বর্তমানে সমকামী যুগলদের বিবাহের ক্ষেত্রে আইনি স্বীকৃতির বিরোধীতায় সরাসরি মাঠে নামল কেন্দ্র। সমলিঙ্গ বিবাহ আমাদের সমাজ ব্যবস্থার পরিপন্থী বলেও এদিন দিল্লি হাইকোর্টে সাফ জানায় কেন্দ্র। ভারতীয় মূল্যবোধ কখনওই এই ধরণের বিবাহকে স্বীকৃতি দেয় না বলেও জানানো হয় কেন্দ্রে তরফে।
ফের শুনানি অক্টোবরে
এদিকে সম্প্রতি ১৯৫৬ সালের হিন্দু বিবাহ আইনের আওতায় সমকামী বিবাহের অন্তর্ভুক্তি চেয়ে আবেদন জমা পড়ে দিল্লি হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানী চলাকালীন এই বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সূত্রের খবর, একাধিক জটিলতা তৈরি হওয়ায় ইতিমধ্যেই এই মামলার শুনানী অক্টোবর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।
কি বলচেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল ?
এই প্রসঙ্গে এদিন সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী রায়ের প্রসঙ্গও টেনে আনেন তুষার মেহতা। তার সাফ কথা, ‘এখনও পর্যন্ত আমাদের আইনে সমলিঙ্গ বিবাহের কোনও বিধি নেই। সমকামিতা কোনও শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয় হিসাবেই শুধুমাত্র রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই অবস্থায় সমকামী যুগলদের বিয়ের ক্ষেত্রে আইনি স্বীকৃতির দাবি মেনে নেওয়া হলে তা ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থার পরিপন্থী হবে।'
কি বলছেন আবেদনকারী ?
এদিকে হিন্দু বিবাহ আইনের আওতায় সমকামী বিবাহের অন্তর্ভুক্তি চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী আভিজিৎ আইয়ার মিত্র। এই জন্য তিনিও হিন্দু বিবাব আইনের ধারাকেই হাতিয়ার করেন। তারও সাফ যুক্তি, সমলিঙ্গে বিবাহের ক্ষেত্রে কোনও আইনি বাধা থাকার কথা নেই। কারণ হিন্দু বিবাহ আইনে বিবাহের ক্ষেত্রে যৌনাচার বা সমকামী সত্ত্বা কোনও বাধা হতে পারে বে উল্লেখ করা নেই।
বাংলায় হিন্দি অ্যাকাডেমি গঠনের ঘোষণা, আঞ্চলিক ভাষাকেও স্বীকৃতি প্রদান মমতার