সংকটকালে ‘অভিমানী’ রাহুল গান্ধী সরে গিয়েছেন, কংগ্রেসে হাল ধরার নাবিক কই! কটাক্ষ সলমনের
কংগ্রেসের সংকেট বেড়েই চলেছে। যত বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে হরিয়ানা ও মহরাষ্ট্র, ততই বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন কংগ্রেস নেতারা। এবার খোদ রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করলেন সলমন খুরশিদ।
কংগ্রেসের সংকেট যেন বেড়েই চলেছে। যত বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে হরিয়ানা ও মহরাষ্ট্র, ততই বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন কংগ্রেস নেতারা। এবার খোদ রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করলেন দলের প্রবীণ নেতা। প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ বলেন, দলের নেতাই যদি অভিমান করে বেরিয়ে যান, তাহলে সেই ধলের হাল কি আর ভালো হতে পারে!
খুরশিদের গলায় খেদ
অভিমান ঝরে পড়ল খুরশিদের গলায়। বলা যেতে পারে খেদও। কংগ্রেসের সংকটের সময়ে দলের সভাপতির পদত্যাগ নিয়েই যে তিনি এই কথা বলেন, তা স্পষ্ট। এখন কংগ্রেসের হাল ধরার কেউ নেই। তাই ব্রিদেহ বাড়ছে, দুই রাজ্যেই আলগা হচ্ছে রাশ। রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশও মনে করছে খুরশিদের এহেন তির্যক মন্তব্য রাহুলকে ঘিরেই।
কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন
সলমন খুরশিদ বলেন, দলের এখন এমনই হাল, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারবে কি না নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। তিনি মনে করেন, এই মুহূ্র্তে সোনিয়া গান্ধী পক্ষে সম্ভব নয় দলের শূন্যস্থান পূরণ করা। সলমন খুরশিদ বলেন, এমনই পরিস্থিতি তৈরি হল যে পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধানও করা যায়নি।
বিকল্প নাম পেল কই কংগ্রেস
তিনি নিশানা করতে চেয়েছেন, রাহুল গান্ধী সভাপতি পদে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করায়, তা নিয়েই বিস্তর সময় চলে গিয়েছে। কিন্তু কেন দল হারল, কোথায় সমস্যা তা নিয়ে ভাবার অবকাশ পেল না কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর ইস্তফা নিয়েই কেটে গেল দিন। তারপরও হাল ফিরল না। কংগ্রেস কোনও বিকল্প নাম আনতে পারেনি সামনে। শেষমেশ অন্তর্বর্তী সভাপতি হতে হয়েছে সেই সোনিয়া গান্ধীকেই। কিন্তু তাঁর পক্ষে এখন দলের হাল ধরা অসম্ভব।