সাধারণ পর্যটকের জন্য খুলে দেওয়া হল সিয়াচেন
জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার পরেই কথাটা উঠেছিল। এবার তা বাস্তবায়িত হল। পৃথিবীর সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন হিমবাহ সাধারণ মানুষের দেখার জন্য খুলে দেওয়া হল।
জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার পরেই কথাটা উঠেছিল। এবার তা বাস্তবায়িত হল। পৃথিবীর সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন হিমবাহ সাধারণ মানুষের দেখার জন্য খুলে দেওয়া হল। আজ লাদাখে এক বক্তৃতা রাখার সময় এই কথা জানান কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। আজ লাদাখে শিয়ক নদীর উপর একটি ব্রিজের উদ্ভোদনে জান রাজনাথ সিং ও সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত। সেখানেই এই কথা জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এর আগে সিয়াচেন হিমবাহে সাধারণ মানুষ যেতে পারতেন না। শুধুমাত্র যে সব স্থানীয় মানুষ সিয়াচেনের কাছাকাছি থাকেন এবং যাঁরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর হয়ে মালবাহকের কাজ করেন তাঁরাই সেখানে যেতে পারতেন
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং টুইটারে লেখেন, "লাদাখে প্রযটনের ব্যপক সুযোগ রয়েছে। লাদাখে নতুন রাস্তা তৈরি হলে আরও অনেক পর্যটক এখানে আসবে বলে আমার বিশ্বাস। আপাতত সিয়াচেনকে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল। সিয়াচেনের বেস ক্যাম্প থেকে কুমার পোস্ট পর্যন্ত প্রযটকরা অবাধে ঘুরতে পারবে।"
সিয়াচেনের কড়া ঠান্ডায় নিজেদের দায়িত্ব সামলান সেনা
ভারতীয় সেনাবাহিনীর কড়া নজরে থাকা এই অঞ্চলটি মানুষের বসবাসের প্রায় অযোগ্যই বলা চলে। কিন্তু এই সিয়াচেন হিমবাহেই আছে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প। এই রকম পরিবেশে যেখানে শীতকালে তাপমাত্রা নেমে যায় হিমাঙ্কের অনেক নীচে, সেখানে কী ভাবে জওয়ানরা থাকেন তা দেখানোর জন্যই এই অঞ্চল পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হল বলে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে।
|
এই বিষয়ে সেনার প্রতিক্রিয়া
এর আগে সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত একটি আলোচনাসভায় সিয়াচেন হিমবাহ পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ওই আলোচনাসভায় কয়েক জন বরিষ্ঠ লেফটেন্যান্ট জেনারেল-সহ বেশ কিছু সেনা অফিসার উপস্থিত ছিলেন। রাওয়াত আশা ব্যক্ত করে বলেন, "সিয়াচেনে পর্যটকরা যেতে পারলে তা জাতীয় সংহতির সহায়ক হবে।" এর আগে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত সিয়াচেনে অভিযানের অনুমতি দিত সরকার ও সেনা। তবে ১৯৮৪ সালের পর অভিযান পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় সেনা।