জেলেই থাকতে হবে দিল্লির প্রাক্তন অধ্যাপক সহ পাঁচজনকে, মুক্তির স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
বোম্বে হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের, জেলেই থাকতে হবে সাইবাবা সহ পাঁচজনকে
শুক্রবার বোম্বে হাইকোর্ট মাওযোগে অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত দিল্লির প্রাক্তন অধ্যাপক সহ পাঁচজনকে বেকসুর খালাস করে দেয়। শনিবার বিশেষ শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট বোম্বে হাইকোর্টের রায়ের স্থগিতাদেশ দিয়েছে। বিচারপতি এম আর শাহ এবং বেলা এম ত্রিবেদীর একটি বেঞ্চ এনআইয়ের আবেদনের ভিত্তিকে এই নির্দেশ দেয়। শনিবার সুপ্রিম কোর্টে প্রায় দুই ঘণ্টা শুনানি হয়।
বিচারপতি
এম
আর
শাহ
এবং
বেলা
এম
ত্রিবেদীর
শনিবার
পর্যবেক্ষণে
জানান,
'আমাদের
মনে
হয়
হাইকোর্টের
এই
রায়
স্থগিত
করা
প্রয়োজন।
যে
অভিযোগগুলো
আনা
হয়েছে,
তা
অত্যন্ত
গুরুতর।
বিশদ
প্রমাণের
পরেই
অভিযুক্তদের
নিম্ন
আদালত
দোষী
সাব্যস্ত
করেছে।
যে
অভিযোগগুলো
রয়েছে
তা
দেশের
সার্বভৌমত্ব,
ভারতের
অখণ্ডতা
ও
স্বার্থের
জন্য
গুরুতর।
সব
কিছু
বিবেচনা
করেই
হাইকোর্টে
রায়ের
ওপর
স্থগিতাদেশ
জারি
করা
হচ্ছে।'
শুক্রবার
বোম্বে
হাইকোর্টের
নাগপুর
বেঞ্চ
দিল্লি
বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রাক্তন
অধ্যাপক
জিএন
সাইবাবা
এবং
অন্য
পাঁচজনকে
বেকসুর
খালাস
করে।
এরপরেই
এনআইএ
সুপ্রিম
কোর্টে
আবেদন
করে।
এনআইয়ের
জরুরি
আবেদনের
ভিত্তিতে
শনিবার
সুপ্রিম
কোর্টে
বিশেষ
শুনানি
হয়।
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৭ সালের ৭ মার্চ মাওবাদীদের সঙ্গে যোগসূত্রের অভিযোগে অধ্যাপক জিএন সাইবাবাকে গাদচিরোলির দায়রা আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সাইবাবা বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। পাঁচ বছর ধরে এই মামলা চলার পর বোম্বে হাইকোর্টে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এই অধ্যাপককে বেকসুর খালাস করে। প্রাক্তন অধ্যাপক সাইবাবার শারীরিক অবস্থা উদ্বেগ জনক। তাঁর শরীরের ৯০ শতাংশ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কাজ করে না। তিনি হুইলচেয়ারে বন্দি। ৯ মে ২০১৪ সালে যখন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ছোটবেলাতেই তিনি পোলিও আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর বাম হাত প্রায় কাজ করে না। তবে গ্রেফতারের সময় তিনি হুইলচেয়ার ব্যবহার করতেন না।
শুক্রবার বোম্বে হাইকোর্টে বিচারপতি রোহিত দেও এবং অনিল পানসারের নাগপুর হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানায়, বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন ইউএপিএ অধীনে উপযুক্ত প্রমাণ নেই। ২০১৭ সালের ৭ মার্চ সাইবাবা, মহেশ তিরকি, পান্ডু নরোটে, হেম মিশ্র, প্রশান্ত রাহি এবং বিজয় তিরকিকে গাদচিরোলির একটি দায়রা আদালত ইউএপিএ ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। বিজয়কে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অন্যদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিজয় বর্তমানে জামিনে মুক্ত। নাগপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় চলতি বছরে অগাস্ট মাসে ৩৩ বছরের নারোটের মৃত্যু হয়।