কৃষি আইনের প্রতিবাদে মরণপণ, আমৃত্যু অনশনের হুঁশিয়ারি শহিদ ভগত সিংয়ের ভাইপোর
কৃষি আইনের প্রতিবাদে মরণপণ, আমৃত্যু অনশনের হুঁশিয়ারি শহিদ ভগত সিংয়ের ভাইপোর
কৃষি আইনের প্রতিবাদে এবার ময়দানে শহিদ ভগত সিংয়ের ভাইপো অভয় সান্ধু। কৃষি আইনের না ফেরাণো পর্যন্ত তিনি অনশন চালিয়ে যাবেন বলে হুঙ্কার দিয়েছেন। নতুন করে চাপ বেড়েছে মোদী সরকারের। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে গত ২ মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পাঞ্জাব-হরিয়ানার কৃষকরা। লালকেল্লা অভিযানের পর কৃষকদের কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হলেও মোদী সরকারের কৌশল খুব একটা ধোপে টেকেনি। উল্টে দ্বিগুণ উৎসাকে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন কৃষকরা। গোটা দেশে ট্রাক্টর ব়্যালি করার ডাক দিয়েছেন তাঁরাষ পাঞ্জাবের কৃষকরা নতুন উদ্যোমে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। এবার তাতে সামিল হয়েছেন শহিদ ভগৎ সিংয়ের পরিবারের লোকেরা।
চাপ বাড়ছে মোদী সরকারের
করোনা সংক্রমণ নিয়ে মোদী সরকারের উপরে চাপ বাড়াচ্ছেন কৃষকরা। নতুন উদ্যোমে জোরদার করা হয়েছে কৃষক আন্দোলন। এখনও কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় রয়েছে চাষিরা লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ জারি রেখেছেন তাঁরা। গোটা দেশে এবার ট্র্যাক্টর নিয়ে আন্দোলনে নামার হুঙ্কার দিয়েছেন তাঁরা। নতুন উদ্যোমে নতুন করে কৃষক আন্দোলন মাত্রা চড়াচ্ছে।
পাশে ভগৎ সিংয়ের পরিবার
কৃষকদের আন্দোলনে এবার সামিল হলেন শহিদ ভগৎ সিংয়ের পরিবার। শহিদ ভগৎ িসংয়ের ভাইপো অভয় সান্ধু এবার মরণপণ করেছেন। তিনি বলেছেন যতদিন না কৃষি আইন প্রত্যাহার হচ্ছে ততদিন তিনি অনশন চালিয়ে যাবেন। ২৩ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সিঙ্ঘু সীমান্তে হাজির হয়ে তিনি কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। এবং কৃষক নেতারা পাগড়ি পরিয়ে এবং মেমেন্টো দিয়ে সম্মান জানিয়েছেন শহিদ পরিবারের সদস্যদের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২৩ মার্চ শহিদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। সেদিন শহিদ হয়েছিলেন ভগৎ সিং।
কৃষি আইনে অনড় মোদী
কৃষি আইন নিয়ে এখনও অনড় সিদ্ধান্তে রয়েছে মোদী সরকার। নীতি আয়োগের বৈঠকেও কোনও রাজ্যই নাকি কৃষি আইন রদ করার দাবি জানাননি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই একমাত্র কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। মমতার না থাকায় কৃষি আইন নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি। আর এই সুযোগের সম্পূর্ণ ব্যবহার করেছে মোদী সরকার।
আন্দোলনে অনড় কৃষকরা
লালকেল্লা অভিযানের পর কৃষকদের আন্দোলনে দমিয়ে ফেলার সবরকম চেষ্টা চালিয়েছিল মোদী সরকার। কিন্তু কোনও কৌশলই ধোপে টেকেনি। উল্টে আরও শক্তি সঞ্চয় করে ময়দানে নেমেছেন কৃষকরা। তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস, বামেরা এবং তৃণমূল কংগ্রেসও। বাজেট অধিবেশনেও এই কৃষক আন্দোলন নিয়ে তোলপাড় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী দাবি করেছেন কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
মমতার 'স্বাস্থ্যসাথী'ই কি তৃণমূলকে ম্যাজিক ফিগার এনে দেবে! জ্যোতিষ গণনা একনজরে