৭৯ রানের অনবদ্য ইনিংস, ঘরোয়া ক্রিকেটের বিদায়ী ম্যাচে সঙ্কটমোচনে সেই সচিনই
১৭৫ বল খেলে কঠিন উইকেটে বোলারদের কোনও সুযোগই দেননি মাস্টার ব্লাস্টার৷ ক্রিকেট জীবন শুরুর নৈপুন্য বজায় রেখেই ঘরোয়া ক্রিকেটের বিদায়ী ম্যাচেও দর্শকদের মুগ্ধ করলেন নিজের ব্যাটিংয়ে। ১৭৫ বলের ইনিংসে তাঁর বাউন্ডারির সংখ্যা মাত্র ৬। ২৪০ রানের লক্ষ্যে নেমে লাহলিতে হরিয়ানার বিরুদ্ধে ৪ উইকেটে জয় পেল মুম্বই৷ কঠিন ব্যাটিং উইকেটে কাজটা মোটেই সহজ হয়নি৷ প্রতিটি রানের জন্যই লাহলিতে লড়তে হচ্ছিল ব্যাটসম্যানদের৷ এই পরিস্থিতিতে কার্যত একহাতে মুম্বইকে জিতিয়ে দিলেন সচিন তেণ্ডুলকার৷ ম্যাচ জয়ের পর সতীর্থদের কাঁধে চড়ে মাঠ ছাড়লেন সচিন৷
৬ উইকেটে ২০১ রান নিয়ে এদিনের খেলা শুরু করে মুম্বই। গতকাল ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন সচিন। সঙ্গী ছিলেন ধাওয়াল কুলকার্নি। '৮৮-র শীতে সচিন রমেশ তেন্ডুলকরের ক্রিকেট-জীবন ঠিক যে ভাবে শুরু হয়েছিল, আজ ক্রিকেট বিশ্ব থেকে অবসরের প্রাক্-লগ্নে পৌঁছেও এক। প্রথম রঞ্জিতে দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরি করেছিলেন, বিদায়ী রঞ্জিতে তাঁর অপরাজিত হাফসেঞ্চুরি জেতাল দলকে।
মুম্বইকে জিতিয়ে কলকাতায় জীবনের ১৯৯ তম টেস্ট খেলতে আসছেন সচিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবসরের আগে জীবনের শেষ ঘরোয়া ম্যাচে যেভাবে ধ্যৈর্য ধরে খেললেন তাতে মুগ্ধ গোটা ক্রিকেট মহল। লাহলিতে ১৭৫ বলে ৭৯ রানের অপরাজিত ইনিংসটা গেইলদের বিরুদ্ধে নামার আগে প্রস্তুতিতে দারুণ ভাবে কাজে দিল বলে সচিন জানিয়েছেন।