চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা আলোচনায় বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর
চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা আলোচনায় বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর
চিনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে প্রায় তিন ঘন্টার দীর্ঘ বৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। জয়শঙ্কর এই বৈঠকের পর বলেন, আমরা বিভিন্ন অ্যাজেন্ডা নিয়ে খোলামেলা এবং অকপটভাবে আলোচনা করেছি। আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও প্রসারিত করার লক্ষ্যে এই আলোচনা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছি। ২০২০সালের এপ্রিলে চিনের পদক্ষেপের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক বিঘ্নিত হয়েছিল।
শুধু চিন ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েই আলোচনা হয়নি দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর ও ওয়াং ইয়ের মধ্যে। তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে আফগানিস্তান এবং ইউক্রেন-সহ প্রধান প্রধান আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়েও। উভয়পক্ষই বিদেশ ও বিশ্বের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে মতামত বিনিময় করেছে। চিনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর ভারতের বিদেশমন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্কর টুইট করে একথা জানিয়েছেন।
My talks with Foreign Minister Wang Yi has just concluded. We met for about 3 hours and addressed a broad and broad substantive agenda in an open & candid manner. We discussed our bilateral relations that have been disturbed as a result of Chinese actions in April 2020: EAM pic.twitter.com/AMyCD9TJLR
— ANI (@ANI) March 25, 2022
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর শুক্রবার চিনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে আলোচনায় জানান, চিনা সেনাদের জমায়েতের কারণে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। সীমান্ত পরিস্থিতির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত উভয় দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে না। তিন ঘণ্টার বৈঠককে 'উন্মুক্ত ও অকপট' আলোচনা বলে অভিহিত করে জয়শঙ্কর বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি বেজিংয়ের প্রতিশ্রুতি পাওয়া জরুরি।
সামরিক কমান্ডারদের মধ্যে ১৫ দফা সীমান্ত আলোচনার পর মন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছিলেন যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক একটি প্রগতিশীল কাজ। তা পরিমার্জন করা দরকার। জয়শঙ্কর উভয় দেশের বন্ধন ঠিক করার জন্য তিনটি নির্ধারক কারণকেও আন্ডারলাইন করেছেন।তা হল- পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পারস্পরিক সংবেদনশীলতা এবং পারস্পরিক স্বার্থ।
Talks with Chinese FM Wang Yi have concluded.
— Dr. S. Jaishankar (@DrSJaishankar) March 25, 2022
Will be addressing the media very soon. pic.twitter.com/x8gEgcJLh6
এরপর তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কর্পোরেশনে ওয়াংয়ের বক্তব্যের বিষয়টি। যেটি আগে ভারত সরকার দ্বারা সমালোচিত হয়েছিল, সেটিও বৈঠকে উত্থাপন করেন তিনি। তিনি বলেন, চিনের সঙ্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনেও আলোচনা হয়েছিল, যার জন্য বেজিং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অংশগ্রহণ চায়। তবে কোয়াড বা ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
চিন ও ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মধ্যে ইউক্রেন, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি, পাকিস্তান থেকে উদ্ভূত সন্ত্রাস, ইউএনএসসি সংস্কারসহ অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। জয়শঙ্কর বলেন, তিনি চিনে অধ্যয়নরত ভারতীয় শিক্ষার্থীদের এবং প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভ্রমণ সংক্রান্ত সমস্যাগুলিও তুলে ধরেন। এর আগে জয়শঙ্কর চিনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একটি ছবি টুইট করার সময় বলেছিলেন, "হায়দরাবাদ হাউসে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইকে শুভেচ্ছা জানাই।"