২১১টি সেনা পরিকাঠামো গুড়িয়ে দিল মস্কো! পালটা দুই রুশ বিমানকে গুলি করে নামাল ইউক্রেন
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আজ তৃতীয় দিন! নতুন করে ইউক্রেনের বিভিন্ন অংশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, গুলির আওয়াজও শোনা যাচ্ছে। এই অবস্থায় দুটি রাশিয়ান ট্রান্সপোর্ট বিমান গুলি করে নামানোর দাবি ইউক্রেনের।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আজ তৃতীয় দিন! নতুন করে ইউক্রেনের বিভিন্ন অংশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, গুলির আওয়াজও শোনা যাচ্ছে। এই অবস্থায় দুটি রাশিয়ান ট্রান্সপোর্ট বিমান গুলি করে নামানোর দাবি ইউক্রেনের। কিভের কাছে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে।
শুধু তাই নয়, সকাল হলেই নতুন রাজধানী কিভ দখলের ছক রাশিয়া শুরু করে দেবে বলেও আশঙ্কা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের। আর এই অবস্থার মধ্যেই ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে আনল ইউক্রেন সেনা।
এক হাজার সেনা-জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে
ইউক্রেন সেনার তরফে দাবি করা হয়েছে ভয়ঙ্কর এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত এক হাজার সেনা-জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। যদিও এখনও রাশিয়ার তরফে কিছু বলা হয়নি। এমনকি তাঁদের ক্ষয়ক্ষতি নিয়েই বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। যদিও রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত ২৫ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শতাধিকেরও বেশি মানুষ গুরুতর আহত। যদিও এখনও পর্যন্ত আসলে ক্ষয়ক্ষতির ছবিটা কি সে বিষয়ে কোনও সরকারি তথ্যই সামনে আসেনি।
অনেক বেশি ক্ষতির পরিমান
যদিও সামরিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যে ক্ষয়ক্ষতির কথা বলা হচ্ছে এর থেকে অনেক বেশি ক্ষতির পরিমান। অন্যদিকে ইউক্রেনের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৮০টি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করা হয়েছে। ৫১৬টিরও বেশি সেনা গাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে।
এছাড়াও সাতটি হেলিকপ্টার, ১০টি এয়ারক্রাফট এবং ২০টিরও বেশি ক্রুশ মিসাইল ধংস করা হয়েছে বলেও ইউক্রেন সেনার তরফে দাবি করা হয়েছে। যদিও রাশিয়ার মিলিটারির তরফে দাবি করা হয়েছে, ইউক্রেনের ২১১টি মিনিটারি পরিকাঠামো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তবে ইউক্রেনের সেনার তরফে দাব করা হয়েছে, রাশিয়ান ফোর্স কিভের বিভিন্ন অংশে থাকা সেনার বেসগুলিকে টার্গেট করছে।
ইউক্রেন মাথা নোয়াবে না
কিন্তু কোনও ভাবেই রাশিয়ার কাছে ইউক্রেন মাথা নোয়াবে না বলেও হুশিয়ারি ইউক্রেনের। আর সেদিকে তাকিয়ে সে দেশের সাধারণ মানুষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক সহ এমন ১৮ হাজার মানুষের হাতে আগেয়াস্ত্র তুলে দিয়েছে ইউক্রেন সরকার। শুধু তাই নয়, শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে লড়াই করারও নির্দেশ প্রেসিডেন্টের। সেই মতো রাজধানীর বিভিন্ন অংশে সেনা ঘাঁটিও তৈরি করা হয়েছে।
অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে কিভের আধিকারিকরা সে দেশের বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়েছেন। সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, কিভের আধিকারিকরা বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। সেইসঙ্গে গোলাগুলি থেকে বাঁচার জন্য জানালা বা ব্যলকনির কাছে না আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে শহরের মেট্রো স্টেশন এবং বম্ব সেল্টারগুলিতে লুকানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।