বাজেটে বেকারি ও কৃষকদের সমস্যা দূর করতে এমনই প্রস্তাব আরএসএস-এর
বেকারি এবং কৃষকদের সমস্যা দূর করতে ব্যবস্থা নিক নরেন্দ্র মোদীর সরকার। বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রকে দেওয়া চিঠিতে এমনটাই আবেদন জানাল আরএসএস-এর একাধিক শাখা সংগঠন।

আরএসএস-এর অর্থনৈতিক শাখা স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ কোর্স কারেকশন-এর সুপারিশ করেছে। ছোট এবং নতুন মাধ্যম যেগুলিতে কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে, তাদের ইনসেনটিভ দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
ভারতীয় কিষাণ সঙ্ঘ কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তাকে বিজেপি সরকারের সামনে তুলে ধরেছে। একইসঙ্গে কৃষি থেকে উৎপাদিত পণ্যের ওপর জিএসটি লাগু হওয়ায় ক্ষতিপূরণেরও দাবি করেছে।

স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের ন্যাশনাল কো-কনভেনর অশ্বিনী মহাজন বলেছেন, বেকারি জ্বলন্ত সমস্যা। সেইজন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির ওপর জোর দেওয়া উচিত বলে মনে করেছেন তিনি।
আগেকার এবং বর্তমান সরকার কর ছাড় দেয়। এছাড়াও বড় বিনিয়োগের ওপর কনসেশন, ইনসেনটিভ এবং সাবসিডিও দিয়ে থাকে সরকার। স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের দাবি, এই পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে যেসব সেক্টরে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে, তাদেরকে সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। উদাহরণ হিসেবে ক্ষুদ্র শিল্পের কথা উল্লেখ করেছে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ।
জিএসটি নিয়ে আরও নমনীয়তার দাবি করা হয়েছে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের তরফে। একইসঙ্গে গ্রামীণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান তৈরি করবে এমন ক্ষেত্রের বেশি বিনিয়োগের সুযোগ তৈরির কথা বলা হয়েছে।
যোগা এবং আয়ুর্বেদে আরও বেশি করে সরকারি সাহায্যের দাবি করেছে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ। দুটি ক্ষেত্রেই নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। কম খরচে চিকিৎসার সুযোগও মেলে বলে জানিয়েছে এসজেএম।

ভারতীয় কিষাণ সঙ্ঘ ছোট কৃষকদের জন্য বাজেটে বিশেষ ব্যবস্থার কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রকে চিঠি দিয়েছে। ছোট কৃষকরা যাতে তাদের বাড়িতে কিংবা বাড়ির কাছেই ফসল রাখার ব্যবস্থা করতে পারেন, সেই সুযোগের প্রস্তাবও দিয়েছে। একইসঙ্গে ভারতীয় কিষাণ সঙ্ঘ, রাজ্যগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্যের মিলিত সাহায্যে চলা প্রকল্পগুলিতে কেন্দ্রের সাহায্যের পরিমাণ ৮০:২০ কিংবা ৯০:১০ থেকে কমিয়ে ৬০:৪০ করার প্রস্তাব দিয়েছে।