এই সংস্থার পরামর্শ মেনেই কেন্দ্র নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে?
আরবিআইয়েরই একমাত্র অধিকার রয়েছে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার যে ভারতের বাজারে ৫০০ ও ১ হাজারের নোট থাকবে কিনা। ফলে আরবিআইয়ের পরামর্শ মেনেই যে কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা স্পষ্ট জানিয়েছেন রবিশঙ্কর প্রসাদ।
নয়াদিল্লি, ২৭ নভেম্বর : নোট বাতিল ইস্যুতে নয়া তথ্যসামনে আনলেন কেন্দ্রীয় আইন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি জানিয়েছেন যে, ৫০০ ও ১ হাজারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন্দ্র নিয়েছে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরামর্শ মেনেই।
পুরনো ৫০০ টাকার নোট এখনও ব্যবহার করতে পারবেন এই জায়গাগুলিতে
স্বেচ্ছ্বায় ব্যাঙ্কে এসে জমা করলেই 'কালো' টাকা হয়ে যাবে 'সাদা'!
মন্ত্রীর যুক্তি, আরবিআইয়েরই একমাত্র অধিকার রয়েছে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার যে ভারতের বাজারে ৫০০ ও ১ হাজারের নোট থাকবে কিনা। ফলে আরবিআইয়ের পরামর্শ মেনেই যে কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা স্পষ্ট জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
কেন্দ্র গত ৯ নভেম্বর থেকে পুরনো ৫০০ ও ১ হাজারের নোটে বাজারে লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে। কয়েকটি জরুরি ক্ষেত্র ও সরকারি কয়েকটি সংস্থায় পুরনো নোট ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছিল। তবে এখন সেই সময়ও পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে শুধুমাত্র ৫০০ টাকার পুরনো নোট কয়েকটি জায়গায় আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। বাকী সমস্ত পুরনো ৫০০ ও ১ হাজারের নোট ব্যাঙ্কে জমা দিতে হবে।
এই কারণে ব্যাঙ্ক বা এটিএমে শুধুই ২ হাজারের নোট, আকাল ৫০০ টাকার নোটের
ব্যাঙ্কে জমা করা হিসাব বহির্ভূত টাকার ৬০ শতাংশ হারে কর বসাতে চলেছে কেন্দ্র
রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়ার কথা সরকার প্রথম থেকেই জানিয়ে আসছিল। নরেন্দ্র মোদী প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই কালো টাকার দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেন। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এই নিয়ে চুক্তিও করেছে ভারত। এর ফলে সেদেশে গচ্ছিত কালো টাকার হিসাব আয়কর দফতর পাবে। এছাড়া বেনামি লেনদেন বন্ধ করতেও ভারত সরকার কড়া পদক্ষেপ করেছে।
নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পর দেশ এবার ঠিক পথেই এগোবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁর মতে, এর ফলে সততা ও স্বচ্ছ্বতা বাড়বে। এখন সকলের লক্ষ্য হওয়া উচিত অর্থনৈতিক সংষ্কারের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছ্ব ভারত গড়ে তোলা।