সারদায় তৃণমূল কাঁপলে ত্রিপুরায় ভোটের মুখে রোজভ্যালি গলার কাঁটা হতে চলেছে বামেদের
রোজভ্যালি চিটফান্ড মামলাতে ত্রিপুরায় জোর ধাক্কা খেতে চলেছে বাম সরকার।
সারদা চিট ফান্ড মামলায় বারবার বাংলায় মুখ পুড়েছে তৃণমূল সরকারের। ২০১৪ লোকসভা ভোট হোক অথবা ২০১৬ বিধানসভা ভোট, সব নির্বাচনের আগেই সারদা চিটফান্ড কাণ্ড নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বাম-কংগ্রেস সহ বিরোধীরা।
এবার সেভাবেই রোজভ্যালি চিটফান্ড মামলাতে ত্রিপুরায় জোর ধাক্কা খেতে চলেছে বাম সরকার। এই কেলেঙ্কারিতে ছোট রাজ্য ত্রিপুরার কয়েক লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যে ঘটনার তদন্ত করছে খোদ কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই ইস্যুই ভোটের মুখে বড় আকার নিতে চলেছে।
অভিযোগ, বাম সরকারের একাধিক নেতা-মন্ত্রী রোজভ্যালি চিটফান্ড কাণ্ডে জড়িয়ে রয়েছেন। রাজ্যে মোট ৩৫ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে যেখানে মোট ১৪ লক্ষ মানুষ টাকা খুইয়েছেন।
কলকাতার চিটফান্ড সংস্থা রোজভ্যালি বাংলা বাদেও অসম, বিহার ও ত্রিপুরায় ডালপালা মেলেছিল। সেখানেই বাম নেতাদের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
বাম নেত্রী বিজিতা নাথের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি রোজভ্যালিকে নানা সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন বলে অনেকে জানিয়েছেন। বিভিন্ন সভাতেও এই চিটফান্ড সংস্থার নামে বিজিতা দেবীকে গুণকীর্তন করতে দেখা গিয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ।
বিজেপির অভিযোগ, শুধু নেতা-মন্ত্রীরাই নন, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও রোজভ্যালির বিনোদন পার্কের উদ্বোধন করেছেন আগরতলায়। অর্থাৎ সর্বোচ্চ নেতৃত্বও রোজভ্যালি নিয়ে সমস্ত ঘটনা জানত বলে অভিযোগ উঠেছে। ২জি বা কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং যেমন চুপ ছিলেন, তেমনই মানিক সরকারও সমস্তটা জেনে চুপ করে ছিলেন বলে অভিযোগ বিজেপির।
সিপিএম এই ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সিবিআইয়ের সঙ্গে সমস্ত সহযোগিতা করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে। এদিকে বিজেপি নির্বাচনী প্রচারে দাবি করেছে, ভোটে জিতলে রোজভ্যালিতে টাকা খোয়ানো ১৪ লক্ষ মানুষের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবে। এই প্রেক্ষিতে চিটফান্ড কাণ্ডে হাওয়া বামেদের বিপক্ষেই বইছে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।