ফের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব
ফের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব
ফের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত লালু প্রসাদ যাদব। এই নিয়ে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির পঞ্চম মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হল। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলার ডোরান্ডা ট্রেজারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে আরজেডি সুপ্রিমোকে।
সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হয়েছে শুনানি। ১৩৯.৩৫ কোটি টাকা কেলেঙ্কারির অভিযোগ ছিল বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। রাঁচিতে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত এই মামলায় লালু প্রসাদ যাদবকে দোষী সাব্যস্ত করে। এই মামলায় অভিযুক্ত ২৪ জনকে বেকসুর খালাস করেছে আদালত। এই নিয়ে পঞ্চম পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হল আরজেডি সুপ্রিমোকে। এর আগেও চারটি পশুখাদ্য কেেলঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল তাঁর। তার জন্য কারাদণ্ডের সাজা হয়েছিল আরজেডি সুপ্রিমোর।
রাঁচির ডোরান্ডা ট্রেজারি থেকে ১৩৯.৩৫ কোটি টাকা কেলেঙ্কারি এখনও পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি বলে জানা গিয়েছে। ১৯৯৬ সালে সিবিআই এই মামলা দায়ের করেছিল। একাধিক মামলা রয়েছে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি নিয়ে। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় ১৭০ জনকে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে। যদিও ৭ জন রাজসাক্ষী হয়ে যাওয়ায় রেহাই পেয়েছে। রায় ঘোষণার আগেই ২ অভিযুক্ত দোষ স্বীকার করে নেয়। এখনও পর্যন্ত ৬ অভিযুক্তের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। বাকি ৯৯ জন দোষীর সাজা ঘোষণার রায় এখনও হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
এই মামলায় লালু প্রসাদ যাদব ছাড়াও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ জগদীশ শর্মা, ডঃ আরকে রানাকে। তিনি সেসময় বিহারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের সচিব ছিলেন। বিক জুলিয়াস, প্রাণি সম্পদ বিকাশ দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর এম কে প্রসাদকেও দোষী সাব্যস্ত করেছে সিবিআইয়ের বিেশষ কোর্ট।
এই পশুখাদ্য কেেলঙ্কারি মামলায় এর আগো মোট ২৭ বছরের কারাদণ্ডের সাজা হয়েছে লালু প্রসাদ যাদবের। আগের চার মামলা ছিল দেওঘর, দুমকা এবং চাইবাসা ট্রেজারিতে আর্থিক কেলেঙ্কারি। জেলেই ছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। সম্প্রতি বিহার হাইকোর্ট তাঁকে জামিন দিয়েছে। তাই তিনি বাড়িতে রয়েছেন। আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব যখন বিহারে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ৯৫০ কোটি টাকা পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি করেছিলেন। ১৯৯৬ সালে সিবিআই ৩৫ টি মামলা দায়ের করেছিল এই কেলেঙ্কারির জন্য।