সুশান্ত মামলায় রিয়ার সঙ্গে আদিত্য ঠাকরের নাম জড়ানো নিয়ে বড় দাবি! মুখ খুললেন আইনজীবী
সুশান্ত মৃত্যু মামলায় রিয়ার সঙ্গে ঠাকরে বংশের সদস্যের নাম জড়ানো নিয়ে তাবড় দাবি প্রকাশ্যে! মুখ খুলেলন আইনজীবী
রিয়া চক্রবর্তীর ফোনে মিলেছিস জনৈক এইউ নামাঙ্কিত একনজরে ফোন নম্বর। যা ঘিরেই বলিউডে প্রবল জলঘোলা হতে শুরু করে। বিতর্ক বলিউড ছাড়িয়ে মহারাষ্ট্র রাজনীতিকে তোলপাড় করেছে। ক্রমাগত উঠতে থাকে সুশান্ত মামলায় ঠাকরের পরিবারের এক সদস্যের নাম। রিয়ার সঙ্গে ঠাকরে বংশের সদস্যের নাম জড়ানো নিয়ে এবার মুখ খুললেন রিয়ার আইনজীবী।
এইউ বিতর্ক
বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, রিয়ার ফোনে গত আট জুনের পর সুশান্তের নম্বর ব্লক করে দেওয়া হয়। ওইদিনই তিনি সুশান্তের ফ্ল্যাটও ছাড়েন। এরপর সুশান্তের মৃত্যুর আগে ও পরে রিয়া বারংবার ফোন করেছেন পরিচালক মহেশ ভাটকে। শুধু তাই নয়, রিয়ার কললিস্টে আরও একজন রহস্যজনক নাম পাওয়া গিয়েছে, যাঁকে রিয়া অভিনেতার মৃত্যুর আগে ও পরে মোট ৪৪ বার ফোন করেছেন। ট্রু কলারে যার নাম ভেসে উঠেছে এইউ। এই এইউ-এর ইনকামিং ফোন এসেছে ১৭ বার।
কেন উঠছে ঠাকরে পরিবারের নাম?
উল্লেখ্য, ট্রু কলারে ঠাকরে পরিবারের এক বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম এইউতে রয়েছে। এদিকে , ঠাকরে বংশের আদিত্যর সঙ্গে অভিনেতা ডিনো মোরিয়ার যোগও স্ক্যানারে চলে আসছিল। যে ডিনো সুশান্তের মৃত্যুর আগেই একটি পার্টি আয়োজন করেন। সেই পার্টিতে আদিত্যও ছিলেন বলে খবর। সেই পার্টিতে কী ঘটেছে তা নিয়েও রয়েছে বহু জল্পনা। আর এসবরে সঙ্গেই আদিত্যর নাম উঠতে শুরু করেছে।
রিয়ার আইনজীবীর দাবি
রিয়ার আইনজীবী জানিয়েছেন, তিনি মহারাষ্ট্রের পরিবেশমন্ত্রী আদিত্য ঠাকরের সঙ্গে কোনও দিনই দেখা করেননি। তিনি কেবলই আদিত্য সম্পর্কে শুনেছেন। ফলে সুশান্ত মামলায় তাঁর সঙ্গে আদিত্যকে জড়ানো ঠিক হচ্ছে না বলে রিয়ার ইঙ্গিত।
আরও বেশ কিছু প্রশ্ন!
রিয়ার কল লিস্ট ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, ৮ জুন থেকে ১৩ জুনের মধ্যে রিয়ার সঙ্গে মহেশ ভাটের বহুবার ফোনে কথা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই ৮ জুনই সুশান্তকে ছেড়ে অভিনেতার বাড়ি থেকে রিয়া চলে যান বলে খবর। আর সেই কারণেই সুশান্তের মৃত্যুতে ক্রমাগত কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে উঠছেন রিয়া। ফোন কল অনুযায়ী, দেখা যাচ্ছে, সুশান্তকে ছাড়লেও, মহেশ ভাটের সঙ্গে রিয়া বেশ যোগাযোগ শুরু করেন। ৮ থেকে ১৩ জুনের মধ্যে রিয়া ও মহেশ ভাটের ১৬ বার ফোনে কথা হয়েছে বলে খবর। একই সঙ্গে মহেশ ভাটকে বহুবার টেক্সটও রিয়া করেন। তবে ইজির সূত্রের খবর বলছে সেই টেক্সট মহেশ ভাট মুছে দেন। এবার প্রশ্ন ওঠে কেন রিয়া এই টেক্সট মুছে দেন? প্রশ্ন উঠছে মুম্বই পুলিশ এই টেক্সটিং নিয়ে কতদূর এগিয়েছিল তদন্তে? মহেশ ভাট, রিয়া চক্রবর্তীর মতো আরও একধিক নাম এই মামলায় উঠে আসতে শুরু করে দিয়েছে।
রাজের পর এবার শুভশ্রীর করোনা টেস্টের রিপোর্ট প্রকাশ্যে! কী জানা যাচ্ছে