আর কীই বা আশা করতে পারেন? 'অ্যাবাইড উইথ মি' বাতিল হওয়ায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল সাংসদ
প্রজাতন্ত্র দিবসকে লক্ষ্য রেখে এবার একাধিক পরিবর্তন। তবে এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল বিটিং রিট্রিটের অনুষ্ঠান থেকে 'অ্যাবাইড উইথ মি" বাদ পড়া। মহাত্মা গান্ধীর অন্যতম প্রিয় এই গানকেই প্রজাতন্ত্র দিবসের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বাজান
প্রজাতন্ত্র দিবসকে লক্ষ্য রেখে এবার একাধিক পরিবর্তন। তবে এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল বিটিং রিট্রিটের অনুষ্ঠান থেকে 'অ্যাবাইড উইথ মি" বাদ পড়া। মহাত্মা গান্ধীর অন্যতম প্রিয় এই গানকেই প্রজাতন্ত্র দিবসের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বাজানো হয়।
কিন্তু এবার সেই প্রথাতেই বদল এনেছে সরকার। যতটা সম্ভব ভারতীয় সঙ্গীতকে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে জায়গা দেওয়া হচ্ছে। মোদী সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত ঘিরে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
অমর-জওয়ান জ্যোতি আগুন নেভানো নিয়ে বিতর্ক
ইন্দিরা গান্ধীর হাত ধরে দিল্লির অমর-জওয়ান জ্যোতি জ্বলে উঠেছিল। এরপর থেকে আর সেই আগুন নেভেনি। এবার প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে এই ক্ষেত্রে বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছে মোদী সরকার। প্রায় ৫০ বছর ধরে জ্বলতে থাকা এই আগুন নিভিয়ে দিয়েছে। আর তা নিভিয়ে ন্যাশানাল ওয়ার মেমোরিয়ালের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই প্রশ্নের মুখে পড়ে মোদী সরকার। আর এর মধ্যেই গান্ধীজীর প্রিয় গানকে বাদ দেওয়া হল বিটিং রিট্রিটের অনুষ্ঠান থেকে।
গান বিতর্কে কেন্দ্রকে আক্রমণ ডেরেকের
দেশের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে 'অ্যাবাইড উইথ মি"। আর সেই গানকে সরিয়ে বলিউডের গান! তা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সর্বস্তরে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। আর তাতে সামিল হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়াতে এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ডেরেক লিখেছেন, Good Governance Day-এর শ্রষ্টাদের কাছ থেকে এর থেকে আর কী বা আশা করা যায়। শুধু তাই নয়, সাংসদ লিখছেন, যখন স্কুলে পড়তাম সেই সময় থেকে প্রতি বছর দিল্লির রাজপথে বিটিং দ্য রিট্রিটে এই সুর শুনেছি। কার্যত পুরো সিদ্ধান্ত কে কঠিন বলেও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
প্রজাতন্ত্র দিবসের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বাজানো হত এই গান
প্রত্যেক বছর ২৪ তারিখ থেকে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করা হত। কিন্তু এবার ২৩ জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে এই প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান। ২৯ তারিখ সন্ধ্যান বিটিং দ্য রিট্রিট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয় সপ্তাহখানেক ধরে চলা এই অনুষ্ঠান। আর সমাপ্তি অনুষ্ঠানের শেষেই তিন বাহিনীর সুরেই বেজে উঠত Abide with Me। কিন্তু এবার তা আর বাজবে না। বরং ভারতীয় কোনও গানকেই এই অনুষ্ঠানে বাজানো হবে।
২৯ জানুয়ারি গান্ধীজীর প্রয়াণ দিবস
বলে রাখা প্রয়োজন ২৯ জানুয়ারি গান্ধীজীর প্রয়াণ দিবস। সেইদিনই শেষ হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের সমাপ্তি অনুষ্ঠান। গান্ধীজীকে স্যালুট জানাতে ফরাসি কবি হেনরি ফান্সিসের লেখা এবং William Henry Monk-এর সুর দেওয়া এই গানকে বাজানো হয়ে আসছিল। এবার সেই সিদ্ধান্তেরই বড়সড় বদল ঘটতে চলেছে দিল্লির রাজপথে। অনেকে বলছেন, মোদী সরকারের আমলে রচিত হচ্ছে নয়া ইতিহাস। আর তা নাকি স্বাধীনতার। যদিও এই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে কোনও বক্তব্য পাপয়া যায়নি।