কেরলে হাতি মৃত্যুর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা পড়ল রাজ ভবনে, মুখের আঘাত নিয়ে তদন্ত এখনও বাকি
গর্ভবতী
হাতির
মৃত্যু
নিয়ে
ময়নাতদন্তের
রিপোর্ট
জমা
দিল
কেরলের
বন
দপ্তর।
রাজ্যপালের
কাছে
জমা
দেওয়া
সেই
ময়ানাতদন্তের
রিপোর্টে
বলা
হয়েছে
যে
হাতিটিকে
বাজিভর্তি
আনারস
খাওয়ানো
হয়েছে
এরকম
কোনও
প্রমাণ
পাওয়া
যায়নি।
মুখ্য বন সংরক্ষণ আধিকারিক সুরেন্দ্র কুমারের তৈরি তদন্তের রিপোর্ট কেরলের রাজ্যপালের কাছে রাজভবনে জমা দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ঘটনার ক্রমবর্ধমান সম্ভাবনা এবং যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল তাতেই হাতিটির মৃত্যু হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ঘটনার ক্রমবর্ধমান সম্ভাবনা এবং যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল তাতেই হাতিটির মৃত্যু হয়।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৩ মে প্রথম হাতিটিকে দেখতে পায় পালাক্কাডের আম্বালাপারা মন্নরকড বন বিভাগের আধিকারিকরা। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, হাতিটিকে থায়ামকুণ্ড এলাকায় ভেলিয়ার নদীতে দেখতে পাওয়া যায়। হাতিটির অবস্থা খুবই করুণ ছিল এবং সে আহত ছিল। প্রাণীটি যে বিভৎস যন্ত্রণা ভোগ করছে তা বোঝা যাচ্ছিল। এরপর হাতিটি জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে যায় এবং আূার ২৫ মে তাকে দেখা যায়। থায়ামকুণ্ড এলাকাটি বন থেকে ১ কিমি দূরে। গ্রামবাসীরা বন বিভাগের আধিকারিকদের তার পরিস্থিতির বিষয়ে অবগত করে। গ্রামবাসীদের মতে, হাতিটির চোয়াল বিকৃত ও ফোলা ছিল এবং সেখান থেকে রক্ত পড়ছিল। যখন বন বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন এবং তারা প্রথমে জোরে ঘণ্টা বাজিয়ে এবং তারপরে নদীর তীরে আগুন ধরিয়ে দেয় যাতে হাতিটিকে বনের দিকে পাঠিয়ে দেোয়া যায়। কিন্তু হাতিটি ওখানেই দাঁড়িয়ে থাকে এবং কোথাও নড়তে চায় না। ওইদিন রাতে হাতিটি ফের নদীর জলে ডুবে থাকে তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার ফিরে যায়।
ত্রিশুরের একজন সহকারী বন ভেটেরিনারি অফিসার জানিয়েছেন যে হাতির অবস্থা খুব খারাপ হওয়ায় ট্রানকুইলাইজার দেওয়া সম্ভব হয়নি। ২৭ মে অসহায় প্রাণীর অবস্থা আরো খারাপের দিকে এগোয়। হাতিটি ক্রমাগত সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করছিল। জলের মধ্যেই বসেছিল সে। দুপুর দেড়টা নাগাদ তাক উদ্ধারের জন্য দু’জন দক্ষ হাতিকে নিয়ে আসা হয়, কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। বিকেল ৪টে ১৫ নাগাদ হাতিটির মৃত্যু হয়। বন বিভাগের পশু চিকিৎসক হাতিটির ময়নাতদন্ত করেন এবং ২৮ মে ভেলিয়ার নদীর তীরে তাকে সমাধিস্থ করা হয়। ক্রেনের সাহায্যে ভেলিয়ার নদী থেকে হাতিটিকে তুলে বনের ভেতর নিয়ে যাওয়া হয়। রিপোর্টে গুরুত্বপূর্ণভাবে বলা হয়েছে যে হাতিটিকে বাজিভরা আনারস খেতে দেওয়ার কোনও প্রমাণ মেলেনি।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে হাতিটির মুখে আঘাত ছিল কিন্তু তা কখন এবং কিভাবে হয়েছে সে বিষয়ে কোনও সামঞ্জস্যতা ছিল না। এটা বলা হয়েছে যে এই দিকটা নিয়ে তদন্ত চলছে। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে ঘটনাটি পালাক্কাদ জেলায় হয়েছে মালাপ্পুরমে নয়।