অবশেষে কাটল আশঙ্কার মেঘ, তৃতীয় দফার ট্রায়ালে ৭৭ শতাংশের বেশি কার্যকর কোভ্যাক্সিন
অবশেষে কাটল আশঙ্কার মেঘ, তৃতীয় দফার ট্রায়ালে ৭৭ শতাংশের বেশি কার্যকর কোভ্যাক্সিন
টিকাকরণ
শুরুর
পর
থেকে
কোভিশিল্ড
নিয়ে
বিশেষ
প্রশ্ন
না
উঠলেও
উদ্বেগ
বাড়তে
থাকে
ভারত
বায়োটেকের
কোভ্যাক্সিনকে
নিয়ে।
এমনকী
সমস্ত
ট্রায়াল
পর্ব
অতিক্রান্ত
না
করেই
জরুরি
ভিত্তিতে
প্রয়োগের
ছাড়পত্র
মেলায়
বাড়তে
থাকে
আতঙ্ক।
এবার
তৃতীয়
পর্যায়ের
ট্রায়াল
রিপোর্টেও
এই
টিকার
বড়সড়
কার্যকারিতার
প্রমাণ
মিলেছে
বলে
জানা
যাচ্ছে।
তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল শেষে দেখা গিয়েছে মানবদেহে করোনা রুখতে কোভ্যাক্সিনের ৭৭.৮ শতাংশ পর্যন্ত কার্য়করী। সম্প্রতি কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ কমিটিকে এমনই তথ্য দিয়েছে ভারত বায়োটেক। এদিকে দেশের সাধারণ মানুষকে কোভ্যাক্সিন দেওয়ার পর আশা-আশঙ্কার দোলচলের মাঝেই কেটে গিয়েছে পাঁচ মাসের বেশি সময়। অবশেষে অন্তিম পর্বের ট্রায়ালের রিপোর্ট সামনে আসায় স্বস্তিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকও।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের কাছেও এই রিপোর্ট জমা করেছে ভারত বায়োটেক। এদিকে দেশের ২৫ হাজার ৮০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল চলেছিল বলে প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে। কার্যকারি কোভিশিল্ডের থেকে তুলনামূলক ভাবে কম হলেও এই টিকা নেওয়ার পর স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে বিশেষ কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনা দেখা যায়নি বলেই জানা যাচ্ছে।
এদিকে করোনা যুদ্ধে ভারতে শুরু থেকেই ভরসা করা হচ্ছিল সিরাম ইন্সস্টিটিউট অফ ইণ্ডিয়ার কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআরের যৌথ উদ্যোগে তৈরি কোভ্যাক্সিনে উপর। তবে তুলনামূলক ভাবে এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি মানুষকে কোভিশিল্ডই দেওয়া হয়েছে। যদিও দেশীয প্রক্রিয়ায় তৈরি হওয়া সত্ত্বেও প্রক্রিয়াজাত কারণেই কোভিশিল্ডের থেকে কোভ্যাক্সিনের অনেকটাই বেশি। এমনকী বিশ্বের তৃতীয় দামি টিকা হিসাবেও 'কুখ্যাতি’ কুড়িয়েছে এই ভ্যাকসিন। এদিকে এখনও পর্যন্ত দেশে সামগ্রিক ভাবে করোনা টিকা পেয়েছেন ২৮ কোটি ৮৭ লক্ষ ৬৬ হাজারের কিছু বেশি মানুষ। যদিও টিকার দুটি ডোজই পেয়েছেন মাত্র ৩.৯ শতাংশ মানুষ।